বিনোদন ডেস্ক »
নাট্যকার ও নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীর দ্বিতীয় সিনেমা ‘প্রহেলিকা’র শুটিং প্রায় শেষ দিকে। এ সিনেমায় জুটিবদ্ধ হয়েছেন অভিনেতা মাহফুজ আহমেদ ও চিত্রনায়িকা বুবলী। বেশ কিছুদিন আগে সিলেটের বিভিন্ন লোকেশনে সিনেমাটির শুটিং শুরু হয়। সর্বশেষ সেন্ট মার্টিন ও ছেঁড়া দ্বীপের বিভিন্ন লোকেশনে গত কয়েক দিন ধরে ‘প্রহেলিকা’ ছবির গানের দৃশ্য ধারণ হয়েছে। শুটিং শেষে সেন্ট মার্টিন থেকে সমুদ্রপথে কক্সবাজার ফেরার পথে গভীর সমুদ্রে আটকা পড়েন মাহফুজ, বুবলীসহ ছবির কলাকুশলীরা।
এমভি বে ওয়ান চলাচল করে চট্টগ্রাম থেকে সেন্ট মার্টিন সমুদ্রপথে। একই কোম্পানির কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ও বার আউলিয়া জাহাজে করে কক্সবাজার থেকে সেন্ট মার্টিন যাওয়া-আসা করেন পর্যটকেরা।
জানা যায়, মঙ্গলবার বিকালে সমুদ্রপথে চয়নিকা চৌধুরীর নেতৃত্বে কক্সবাজার ফিরছিলেন তারা। বেলা আড়াইটায় সেন্ট মার্টিন থেকে ছেড়ে আসা সবাই রাত ১০টায় কক্সবাজার ফেরার কথা থাকলেও ফেরেন সকাল ছয়টায়। পরিচালক জানান, পাঁচ ঘণ্টা ধরে তারা গভীর সমুদ্রে আটকে ছিলেন।
চয়নিকা চৌধুরী তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘মধ্যসাগরে আমরা আটকে আছি টানা পাঁচ ঘণ্টা। রাত ৯টা থেকে ২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত আমরা ‘প্রহেলিকা’ টিম কর্ণফুলী ক্রুজ লাইনের এমভি বে ওয়ানে আছি মাঝসমুদ্রে। দূর থেকে দেখেছি, ভাটার কারণে আমাদের শিফট করে নিয়ে যাওয়ার জাহাজটার কী অবস্থা। কী যে যাচ্ছে সময়টা। সবাই ওপরওয়ালাকে ডাকছে। ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ শামসুজ্জামান ও শাহাদাত সোহেল ভাইয়ের পারদর্শিতার কথা বলতেই হয়। কিন্তু আমাদের কাছে পুরোটাই অসম্ভব মিরাকল ছিল।’
অভিনয়শিল্পী মাহফুজ আহমেদ বলেন, ‘মধ্যসমুদ্রে আমরা আটকা পড়ব, ভাবতেও পারিনি। যে পরিস্থিতির মধ্যে আমরা পড়েছি, এমনটা নাকি কখনো হয় না। বারবার ঘোষণা দেওয়া হচ্ছিল, অস্বাভাবিক পরিস্থিতি আমরা ফেস করছি। এমভি বে ওয়ান থেকে যে জাহাজ আমাদের কক্সবাজার নিয়ে যাবে, অস্বাভাবিক পরিস্থিতির কারণে সেটিও কাছে আসতে পারছিল না। সব মিলিয়ে ভয়ংকর একটা সময় গেছে।’













