ব্যাটার অর্ধশতক কিংবা শতক করলেই ব্যাট উঁচিয়ে জানান দেন—সেলিব্রেশনে মাতেন। গ্যালারি থেকে ভেসে আসে হাততালি আর সতীর্থদের অভিবাদন। তবে একটা সময় বোলারদের তেমন কোন সেলিব্রেশনের উপলক্ষ্যই ছিলনা ক্রিকেট মাঠে।
অস্ট্রেলিয়ার ‘টম কেন্ডল’ টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বপ্রথম বোলার হিসেবে পাঁচ-উইকেট শিকার করেন। ১৮৭৭ সালে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত ইতিহাসের প্রথম টেস্ট ম্যাচে তিনি এই কৃতিত্ব অর্জন করেন। তবে ৫ উইকেট শিকারের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি আসে তারও ১২৪ বছর পর।তাও অপর এক অস্ট্রেলিয়ানের হাত ধরে।
সালটা ২০০১। বোলার হিসেবে গ্লেন ম্যাকগ্রা তখন ব্যাটারদের কাছে এক আতঙ্কের নাম। কিন্তু ম্যাগ্রার মনে তখন একটা বিষয় গভীর দাগ কেটেছিলো। ব্যাটাররা হাফ-সেঞ্চুরি কিংবা সেঞ্চুরি করলে ব্যাট উঁচিয়ে সেলিব্রেট করতে পারলেও বোলারদের তেমন কোন আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি ছিলোনা। তারা ১০ উইকেট পেলেও তাদের অর্জন যেন চাপা পড়ে যেত ২২ গজে। তাই ম্যাকগ্রা চিন্তা করলেন বোলারদের জন্য কিছু একটা করা যায় কিনা।
যেমন ভাবা তেমন কাজ। ম্যাকগ্রা তার সহকর্মী বোলার ফ্লেমিং, মাইকেল আর গিলিসপির সাথে একটা প্ল্যান করে বসলেন। তাদের মধ্যে এরপর থেকে যে ৫ উইকেট পাবে, সে বল উঁচিয়ে তা সেলিব্রেট করবে। সে বছরের অ্যাশেজ সিরিজেই ভাগ্যক্রমে গ্লেন ম্যাকগ্রাই প্ৰথম ৫ উইকেট পেয়েছিলেন এবং প্ল্যান অনুযায়ী সেলিব্রেটও করেছিলেন। আর সেই থেকেই ৫ উইকেট শিকারী ‘ফাইভ উইকেট হাউল’ নামে পরিচিত পায়। এরপর থেকেই ৫ উইকেট পেলে বল উঁচিয়ে সেলিব্রেট করা শুরু করেন বোলাররা।
বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রথম পাঁচ উইকেট শিকার করেন আফতাব আহমেদ এবং অভিষেক ম্যাচে পাঁচ উইকেট শিকারের কৃতিত্ব অর্জন করেছেন তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।













