বাংলাধারা ডেস্ক »
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ট্রেন দুর্ঘটনায় তূর্ণার চালক-সহকারী ও গার্ডকে দায়ী করে প্রতিবেদন দিয়েছে পূর্বাঞ্চল রেল বিভাগ। ব্রেক করার পর্যাপ্ত সুযোগ থাকলেও তা না করায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। আর দুর্ঘটনার আগে ৪টির মধ্যে ২টি সতর্ক সংকেত অমান্য করেছে তূর্ণা নিশীথার চালক।রেলের বিভাগীয় তদন্ত কমিটির অনুসন্ধানে এসব তথ্য উঠে এসেছে ।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) তদন্ত প্রতিবেদনটি রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. শামছুজ্জামানের কাছে জমা দেন দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে গঠিত বিভাগীয় পর্যায়ের তদন্ত কমিটি।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মো. নাসির উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এক ভাগ কাজ অসম্পূর্ণ থাকায় বৃহস্পতিবার প্রতিবেদন জমা দেয়ার শেষ সময় থাকলেও তদন্ত প্রতিবেদন ঠিক সময়ে জমা দেয়া যায়নি।শুক্রবার আবারও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সম্পূর্ণ প্রতিবেদন ডিজির কাছে জমা দেয়া হয়েছে।
তদন্ত কর্মকর্তাদের ধারণা চালক ঘুমিয়ে থাকার কারণেই দুর্ঘটনা। তদন্তকালে ট্রেনের গতি, সংকেত ব্যবস্থা, আবহাওয়াসহ ১০টি বিষয় সামনে রেখে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়।
তূর্ণার চালক, সহকারী চালক গার্ড, স্টেশন মাস্টারসহ ১৭ জনের স্বাক্ষ্য নেয়া হয়েছে।স্টেশনের সংকেত ব্যবস্থা, ট্রেনের গতিসহ আনুসাঙ্গিক কারিগরি দিক পরীক্ষা করে দেখা হয়।
তদন্তে জানা যায়, রেলস্টেশনের চারটি সংকেতের মধ্যে দু’টি সংকেত লঙ্ঘন করেছেন ট্রেন চালক। তদন্ত কমিটির কাছে বিপদ সংকেত দেখার পর ‘এয়ার ব্রেক’ আরোপ হয়েছে চালক ও গার্ড এমন দাবি করলেও কমিটি এর সত্যতা পাননি।
কমিটি বলছে, এয়ার ব্রেক প্রয়োগ করলে ১০ সেকেন্ডে ট্রেনটি থেমে সর্বোচ্চ ১০ মিটার সামনে যাবে, কিন্তু দুর্ঘটনাকবলিত তূর্ণা নিশিতা গেছে প্রায় ৭৪০ মিটার। ট্রেনও ছিল পূর্ণগতিতে অর্থাৎ ৭২ কিলোমিটার বেগে।প্রাণহানি ঠেকাতে বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে চালক সর্তক না থাকলেও ট্রেন যাতে নিজ থেকেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়, সে ব্যবস্থা সংযোজনসহ সুর্নিদিষ্ট কিছু সুপারিশ দিয়েছে তদন্ত কমিটি।পাশাপাশি দোষীদের শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে। এদিকে, এ বিষয়ে রেল মন্ত্রী ও ডিজি ঢাকায় সাংবাদিক সম্মেলন করবেন জানা গেছে।গত মঙ্গলবার ভোরে ওই দুর্ঘটানায় ১৬ ট্রেনযাত্রী মারা যান। আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অর্ধশতাধিক।এদর মধ্যে অনেকে পঙ্গুত্বকে বরণ করে নিয়েছেন।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম













