সায়ীদ আলমগীর, কক্সবাজার »
ব্লু-ইকোনমির অবদানে উন্নত বাংলাদেশ নিশ্চিত হবে উল্লেখ করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জিয়াউল হাসান বলেছেন, সুনীল অর্থনীতির ব্যবহার সুনিশ্চিত করতে কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক মানের একটি সী-অ্যাক্যুরিয়াম করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে সী-অ্যাকুরিয়াম স্থাপন প্রকল্পের কাজ সরকারের সংশ্লিষ্ট পর্যায়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
২০৪১ সালে উন্নত এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে গেলে জিডিপি ১০ শতাংশে উন্নীত করতে হবে। এখন ৮ শতাংশ আছে, বাকি দুই শতাংশ পূরণের জন্য সমুদ্র ছাড়া অন্যকোন খাত নেই। তাই ২ শতাংশ জিডিপির হাব হতে পারে সুনীল অর্থনীতি।
বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে কক্সবাজারের রামুর পেঁচারদ্বীপস্থ বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে ‘বার্ষিক গবেষণা প্রতিবেদন’ উপস্থাপন নিয়ে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।
সিনিয়র সচিব জিয়াউল হাসান আরও বলেন,২০৪১ সালে উন্নত এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে গেলে জিডিপি ১০ শতাংশে উন্নীত করতে হবে। এখন ৮ শতাংশ আছে, বাকি দুই শতাংশ পূরণের জন্য সমুদ্র ছাড়া অন্যকোন খাত নেই। তাই ২ শতাংশ জিডিপির হাব হতে পারে সুনীল অর্থনীতি। এ জন্য সমুদ্র থেকে খনিজ সম্পদ ও মৎস্য সম্পদ আহরণে আধুনিক ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং সমুদ্র কেন্দ্রিক ইকো-ট্যুরিজম উন্নয়নে গুরুত্ব দিতে হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জিয়াউল হাসান আরও বলেন, ডিঙ্গি নৌকায় আর সমুদ্র গবেষণা নয়, গবেষণার জন্য একটি অত্যাধুনিক জাহাজ ক্রয় করা হচ্ছে। একই সাথে গভীর সমুদ্রের তলদেশে বিশদ গবেষণার জন্যও আধুনিক যন্ত্রপাতি ক্রয়ের উদ্যোগ চলছে।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, ব্লু-ইকোনিমির মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশের অর্থনীতির জি- ২০টি দেশের সমকক্ষে পৌঁছাবে। আগামী ২০৫০ সালে ভিসা ছাড়াই বাংলাদেশীরা পৃথবীর যেকোন দেশ ভ্রমণ করতে পারবে।
বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দারের সভাপতিত্বে সেমিনারে আলোচনায় অংশ নেন পরিকল্পনা কমিশনের অর্থনীতি সম্পর্ক বিভাগের সদস্য ড. মোহাম্মদ কাউসার আহমেদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রাশেদ উন নবী প্রমুখ।
সেমিনারে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বোরির ডিজি সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার। সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটে কর্মরত ৭ বিজ্ঞানী তাদের বার্ষিক গবেষণা রিপোর্ট উপস্থাপন করেন।
সেমিনারে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের গবেষক, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি এবং গণমাধ্যম কর্মিরা অংশ নেন।













