ভারতের মহারাষ্ট্রের রায়গড়ে পাহাড় ধসে একটি গ্রামের অন্তত ২২ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার তিন দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো শেষ হয়নি উদ্ধারকাজ। শনিবার সকালে নতুন করে উদ্ধারের কাজ শুরু করেছে দেশটির বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। এখনও পর্যন্ত খোঁজ মেলেনি ধস কবলিত ৮৬ জন গ্রামবাসীর।
আনন্দবাজারের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রায়গড় জেলার ইরশালওয়াড়ি গ্রামে বুধবার ভোরে পাহাড়ের একাংশ ধসে পড়ে। কাদামাটিতে ডুবে যায় গ্রামের একাধিক বাড়ি। বুধবার থেকেই উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছিল রায়গড়ে। কিন্তু বৃষ্টির কারণে বার বার সেটি ব্যাহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ছিল ১৬। শুক্রবার তা বেড়ে ২২ জনে পৌঁছয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের মধ্যে নয় জন পুরুষ, নয় জন নারী এবং চার জন শিশু। সেখানে একই পরিবারের নয় সদস্যের মৃত্যু হয়েছে।
ভারতের জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী শনিবার আবার ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে গ্রামবাসীদের খোঁজ শুরু হয়েছে। মহারাষ্ট্র সরকার এই ঘটনায় মৃতদের পরিবারের জন্য পাঁচ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। সেই সঙ্গে যারা আহত হয়েছেন, তাদের চিকিৎসার খরচও বহন করবে সরকার।
খবরে বলা হয়েছে, ইরশালওয়াড়ি গ্রামে মোট ২২৯ জন বাসিন্দা। তাদের মধ্যে ১১১ জন নিরাপদে রয়েছেন। ৪৮টি বাড়ির মধ্যে অন্তত ১৭টি বাড়ি ধ্বংসস্তূপে পুরোপুরি বা আংশিক চাপা পড়েছে।













