বাংলাধারা প্রতিবেদন »
মিয়ানমারে সহিংসতায় বাস্তুচ্যুত হয়ে সীমান্তবর্তী কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া আরও এক হাজার ১১ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচর দ্বীপে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে ছয় দফায় সাড়ে ৯ হাজার রোহিঙ্গা ভাসানচরে গেল।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় নগরের পতেঙ্গা বোট ক্লাব সংলগ্ন জেটি থেকে নানা বয়সী ১ হাজার ১১ রোহিঙ্গা বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তিনটি জাহাজে রওনা দেন।
জানা যায়, তাদের সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে কক্সবাজারের উখিয়া ক্যাম্প থেকে চট্টগ্রাম আনা হয়। নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে বিএএফ শাহীন কলেজ মাঠের অস্থায়ী ক্যাম্পে রাতযাপনের পর তাদের জাহাজে তোলা হয়।
এর আগে, প্রথম দফায় গত বছরের ৪ ডিসেম্বর ১ হাজার ৬৪২ জন, দ্বিতীয় দফায় ২৮ ডিসেম্বর ১ হাজার ৮০৫ জন, তৃতীয় দফায় ২৯ জানুয়ারি ১ হাজার ৬৬৭ জন চতুর্থ দফায় ৩০ জানুয়ারি ১ হাজার ৪৬৭ এবং পঞ্চম দফায় ১৫ ফেব্রুয়ারি ২ হাজার ১০ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
মিয়ানমারে জাতিগত নিপীড়নের শিকার হয়ে বাস্তুচ্যুত প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গার অবস্থান আছে কক্সবাজারের উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্পে। ২০১৭ সালের আগস্টে সবচেয়ে বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজার সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে, যার ফলে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি উদ্বাস্তূর ঠিকানা হয় বাংলাদেশ। লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে নিয়ে সামাজিক নানা সমস্যা সৃষ্টির প্রেক্ষাপটে এক লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচর দ্বীপে নেওয়ার ব্যবস্থা করে সরকার।
১৩ হাজার একর আয়তনের ভাসানচরে ১২০টি অত্যাধুনিক পরিবেশবান্ধব গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করেছে নৌবাহিনী। রোহিঙ্গাদের জন্য বাসস্থান ছাড়াও বেসামরিক প্রশাসনের প্রশাসনিক ও আবাসিক ভবন, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার ভবন, ধর্মীয় উপাসনালয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, চিকিৎসালয়, শিশুদের খেলার মাঠ ও বিনোদন স্পট গড়ে তোলা হয়েছে ভাসানচরে।
বাংলাধারা/এফএস/এআর













