২৪ অক্টোবর ২০২৫

ভাসানচর থেকে পালিয়ে আসা ১০ রোহিঙ্গা কুতুপালং ক্যাম্পে আটক

জেলা প্রতিনিধি, কক্সবাজার »

নোয়াখালীর ভাসান চর থেকে পালিয়ে আসা ১০ রোহিঙ্গাকে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আটক করেছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন-১৪) সদস্যরা।

শনিবার (২৯ মে) বিকেলে কুতুপালং মধুরছরা এলাকা থেকে তাদের আটক করে ট্রানজিট ক্যাম্পে পাঠিয়েছেন বলে জানিয়েছেন এপিবিএন-১৪ কমান্ডার (পুলিশ সুপার) নাঈমুল হক।

এপিবিএন ১৪ এর কমান্ডার জানান, উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মধুরছরায় অবস্থিত এপিবিএনের সদস্যরা জানতে পারে নোয়াখালীর ভাসানচর থেকে দুই রোহিঙ্গা পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য ক্যাম্পে পালিয়ে বিভিন্ন আত্নীয় স্বজনের ঘরে অবস্থান করছে। ভাসান চরে যাওয়ার আগে তারা কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৩ এর ৯ নম্বর ব্লকের বাসিন্দা ছিল। পরে সেখান থেকে গোপনে পালিয়ে এসে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থান করছিল। শনিবার বিকেলে স্হানীয় মাঝিদের সহায়তায় আর্মড পুলিশ সদস্যরা ক্যাম্পের অন্যান্য রোহিঙ্গাদের ঘর থেকে এনায়েত উল্লাহ ও কেফায়েত উল্লাহকে আটক করে। পরে তাদের পরিবারের অন্য সদস্য মোট ১০ জনকে আটক করা হয়।

তাদের বরাত দিয়ে, পুলিশ সুপার নাঈমুল হক আরো জানান গত ৮ মে নোয়াখালীর এক দালালের মাধ্যমে ১৫ হাজার টাকা চুক্তিতে ভাসানচর থেকে ট্রলারে করে নোয়াখালীর একটি জায়গায় এসে আশ্রয় নেয় আটকরা। পরে গাড়ি যোগে কৌশলে তারা উখিয়া চলে আসে।

এসপি নাঈমুল হক জানান, আটকের পর তাদের ক্যাম্প ইনচার্জের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে তাদেরকে ট্রানজিট ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেয়া হয়। গত ৩ মার্চ আটক এই রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায় কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে নোয়াখালীর ভাসান চরে গিয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদে আটক রোহিঙ্গারা জানিয়েছে, ভাসানচরে আধুনিক সুবিধা হলেও সেখানে ভালো লাগছিল না। তাই দালালের মাধ্যমে পালিয়ে এসেছে।

শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার শামসুদ দৌজা নয়ন জানান, যারা ভাসানচর থেকে পালিয়ে এসেছে তাদের যেখানেই পাওয়া যাক না কেন তাদেরকে আবারো ভাসানচরে পাঠিয়ে দেয়া হবে।

বাংলাধারা/এফএস/এআই

আরও পড়ুন