২৪ অক্টোবর ২০২৫

ভাসানচর সীমানা দ্বন্দ্বে বড় অগ্রগতি: সন্দ্বীপবাসীর আশায় নতুন আলো

বহুল আলোচিত ভাসানচর সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত দ্বন্দ্বে এক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি দেখা দিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো এ সংক্রান্ত দ্বিতীয় এবং চূড়ান্ত মিটিং। এই বৈঠককে ঘিরে সন্দ্বীপ ও হাতিয়া দুই উপজেলার জনসাধারণের মাঝে ছিল প্রবল আগ্রহ ও উত্তেজনা।

সন্দ্বীপের সাবেক ন্যমস্তি ইউনিয়ন, যা এখন জেগে ওঠা ভাসানচর নামে পরিচিত, তা সন্দ্বীপেরই অংশ—এ দাবি বহু বছর ধরেই করে আসছেন সন্দ্বীপবাসী। কিন্তু ২০২১ সালে তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের একজন শীর্ষ নেতার একক সিদ্ধান্তে প্রকাশিত গেজেটে ভাসানচরকে হাতিয়ার অন্তর্ভুক্ত দেখানো হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয় সন্দ্বীপবাসী এবং তারা একাধিকবার আন্দোলনে নামে, যা তৎকালীন প্রশাসন আমলে নেয়নি।

তবে জুলাই বিপ্লবের পর বদলে যাওয়া রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিষয়টি আবারও সামনে আসে। আজকের বৈঠকে সন্দ্বীপ ও হাতিয়ার পক্ষ থেকে জমা দেওয়া হয় বিভিন্ন প্রমাণাদি, মানচিত্র ও ঐতিহাসিক দলিল। সন্দ্বীপপক্ষের জমা দেওয়া নথিপত্রে ভাসানচরকে স্পষ্টভাবে সন্দ্বীপের অংশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। অন্যদিকে, হাতিয়ার পক্ষ থেকে জমা পড়ে মূলত পুরনো রাজনৈতিক গেজেট ও কিছু বক্তব্য, যা পর্যাপ্ত শক্ত দলিল হিসেবে বিবেচিত হয়নি।

বিভাগীয় কার্যলয়ে মিটিং এ সন্দ্বীপ ও হাতিয়ার প্রতিনিদি দল

বৈঠকের শেষে প্রশাসন জানায়, বিষয়টি নিয়ে আর কোনো মিটিং হবে না। জমা দেওয়া সকল নথি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য তা পাঠানো হবে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে। সেখান থেকেই আসবে চূড়ান্ত রায়।

বৈঠকে উপস্থিত আন্দোলনরত সন্দ্বীপবাসীদের মধ্যে ছিলেন সংশ্লিষ্ট কমিটির পাঁচজন সদস্য, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকরা। সবার চোখে-মুখে ছিল প্রত্যাশার আলো।

সন্দ্বীপবাসীর দৃঢ় বিশ্বাস তাদের দাবি, ইতিহাস, ভৌগোলিক মানচিত্র, স্থানীয় জনগণের দাবি এবং প্রমাণপত্র সবকিছুই বলছে ভাসানচর সন্দ্বীপেরই অংশ হবে।

ইমন/বাংলাধারা

আরও পড়ুন