রাঙামাটি প্রতিনিধি »
ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ভিডিও করে সেই ভিডিও দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ এনে যুবকের বিরুদ্ধে রাঙামাটি কোতয়ালী থানা মামলা দায়ের করেছেন এক ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা। ২০ আগস্ট ধর্ষণের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়।
এদিকে মামলা দায়েরের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই মূল অভিযুক্ত মো. সুজন ওরফে নয়নকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছেন কোতয়ালী থানার এসআই ক্যহলা চিং মারমা। তিনি জানান, আমরা মামলাটি দায়েরের পর থেকেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় আসামিকে গ্রেফতারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে অবশেষে রোববার বিকেলে অভিযুক্তকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি। সোমবার (২২ আগস্ট) আসামিকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।
মামলার বাদী ভিকটিমের মা এজাহারে উল্লেখ করেছেন, আমাদের ও ছেলেটির উভয় পরিবারের বাসা পাশাপাশি হওয়ার সুবাধে উভয় পরিবারের মধ্যে সুসম্পর্ক ছিল। এই সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে গত ১৭ জুলাই (বুধবার) সকালে আমার ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ুয়া ১২ বছর বয়সী মেয়েকে ফুসলিয়ে নিজেদের ঘরে নিয়ে যায় সুজন। এসময় ধারালো ছুরি দিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং ভিডিও করে রাখে। এই ঘটনা কাউকে জানালে ভিকটিম ও তার ছোট ভাইকে খুন করার হুমকিও দিয়েছে সুজন। পরবর্তীতে ধর্ষণের ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে উক্ত শিক্ষার্থীকে আরো বেশ কয়েকবার ধর্ষণ করা হয়েছে বলেও মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন ভিকটিমের মা।
সর্বশেষ গত ১৭ আগস্ট মেয়েটিকে ডেকে নিয়ে আবারও জোরপূর্বক ধর্ষণ করায় মেয়েটি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। এতে করে বিষয়টি মেয়েটির পরিবারের সদস্যদের দৃষ্টিগোচর হলে মেয়ের মা তাকে জিজ্ঞাসা করলে মায়ের কাছে সে ঘটনার বিস্তারিত খুলে বলে।
মেয়ের মা বলেন, আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর আমি মানুষের বাসায় কাজ করে আমার ৫ সন্তানকে লালন-পালন করেছি। নিজে না খেয়ে হলেও মেয়েটিকে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করাচ্ছিলাম। কিন্তু এই ঘটনায় আমার সবশেষ হয়ে গেছে। আমি ন্যায় বিচার চাই।













