২৮ অক্টোবর ২০২৫

মধুমাসের স্বস্তি তালের শাঁস

ইয়াসির রাফা »

দেশীয় রসালো ফলের মন মাতানো সৌরভে শুরু হলো জৈষ্ঠ্য। ফলের মৌসুমে বিভিন্ন জেলা থেকে রসালো ফল তাল আসতে শুরু করেছে নগরীতে। প্রতি বছরই এমন সময় বিশাল সংখ্যায় এ ফল চোখে পড়ে নগরীর আটমাসিং মোড় থেকে শুরু করে বিআরটিসি সংলগ্ন ফলমন্ডি জুড়ে। একইসাথে অন্য আরেকটি দেশীয় ফলের পাইকারী বাজার জমে উঠে স্টেশন রোড এলাকায়।

গরমে একটু স্বস্তি পেতে সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে মধুমাসের এই ফল। তালের শাঁস খাওয়ার এখনই সময়। একমাত্র তালের এই শাঁসেই ফরমালিনের ছোয়া দেয়া সম্ভব হয়ে উঠে না বিধায় সর্বসাধারণের কাছে এই রসালো ফলটি এই করোনাকলে অনেকটা উপকারি বলে মনে করেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

গ্রীস্মকালীন এ ফল খেতে খুব সুস্বাদু। তাই অনেকে লাভের কথা চিন্তা করে খুচরা বিক্রেতারা কিনে রিকশাভ্যান করে বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যেতে দেখা যায় এই ফলটি। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা কচি তাল খুচরা বিক্রেতারা এখান থেকে ভ্যানে করে নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে বিক্রি করেন। এই তাল বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছে শত শত মানুষ।

বিক্রেতা রহিম মিয়া বলেন, লকডাউন চলার কারণে দেশের বিভিন্ন জায়গায় থেকে তাল এতোদিন আসতে পারেনি। কিন্তু বর্তমানে লকডাউন শীতল হওয়াতে বেড়েছে বেচাকেনা। সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকায় অন্যান্য ফলমূলের তুলনায় তালের চাহিদা শিশু থেকে বয়স্ক পর্যন্ত দেখতে পাওয়া যায়।

গরমে স্বস্তি পেতে পথচারীরা এখন ভিড় করছে তাল বিক্রেতার কাছে। গাড়ি থামিয়ে অনেক ক্রেতা পরিবারের জন্য কিনে নিয়ে যাচ্ছে তালের শাঁস। রিকশাচালক থেকে শুরু করে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ এই মৌসুমী ফল কিনতে ভিড় করছে রাস্তার মোড়ে। তবে এখানে সামাজিক দূরত্ব মানছেন না কেউ। সুরক্ষার কোনো কিছু নেই বললেই চলে তাল ব্যবসায়ীদের মাঝে। ঝুঁকিতে তাল বিক্রি করছে সবাই।

বাংলাধারা/এফএস/টিএম/এএ

আরও পড়ুন