কক্সবাজার প্রতিনিধি »
রাতের আঁধারে কেটে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ মাদার ট্রি (গর্জন) বোঝাই একটি ট্রাক জব্দ করেছে কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিশেষ টহল দল।
রবিবার (৯ এপ্রিল) মধ্যরাতে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়া ব্রিজ এলাকার পেট্রল পাম্প এলাকা হতে কাটা নিষিদ্ধ বিশাল গর্জন গাছসহ ট্রাকটি জব্দ করা হয় বলে জানিয়েছেন অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া কক্সবাজার শহর রেঞ্জ কর্মকর্তা ও স্পেশাল টিমের ওসি মো. মনিরুজ্জামান।
তিনি জানান, গোয়েন্দা তথ্যে খবর আসে পার্বত্য অঞ্চলের গহীন পাহাড়ে সংরক্ষিত বন থেকে পুরোনো মাদার ট্রি (গর্জন) কেটে পাচার করতে পারে বন ধ্বংসকারি কাঠ চোর সিন্ডিকেট। এ খবরে বিশেষ টহল দল নিয়ে অভিযানে নামে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের স্পেশাল টিম। মহাসড়কের চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালী এলাকায় পূর্ব পাশের পাহাড়ি এলাকা হতে একটি গর্জন কাঠ ভর্তি ট্রাক রাস্তায় উঠে। দাঁড়াতে সংকেত দিলে গাড়িটি গতি বাড়িয়ে উত্তর পাশে পালাতে থাকে।
ওসি মনিরুজ্জামান আরও বলেন, সঙ্গীয় স্টাফসহ তাদের পেছনে ধাওয়া দিয়ে চকরিয়া মাতামুহুরী ব্রিজ এলাকায় গিয়ে গাড়িটা আটক ও গাছগুলো জব্দ করা হয়। আভিযানিক দলকে দেখে চালক-হেলপার ও কাঠচোররা সটকে পড়ে। কাঠসহ গাড়িটি কক্সবাজার বিভাগীয় কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। জব্দ করা ট্রাকে অবৈধভাবে পরিবাহিত আনুমানিক ৩০০ ঘনফুট গর্জন রয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের সনাক্ত করে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএনএ) মো. আনোয়ার হোসেন সরকার বলেন, প্রাচীন বনে থাকা মাদার ট্রি গর্জন রক্ষায় বন বিভাগ সোচ্চার। কিন্তু গাছ কেটে সাবাড় করতে ততপর অসাধু বন খেকোরা। স্বল্প সংখ্যক বনকর্মী দিয়ে পূঙ্খানুপুঙ্খভাবে বন রক্ষা কষ্টসাধ্য। এরপরও আমরা কর্মতৎপরতা থামিয়ে রাখিনি। এরই অংশ পাচারকালে বিপুল পরিমাণ গর্জনগাছ জব্দ করা। রাতে অন্যরা ঘুমালেও আমাদের স্পেশাল টিম অভিযানে নির্ঘুম রাত পার করে। কারণ, বন খেকোরা রাতকেই মূখ্যম সময় হিসেবে বেছে নেয়। নিজেদের শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখতে বন রক্ষায় স্ব স্ব অবস্থান থেকে সকলকে সজাগ হয়ে বন বিভাগকে সহযোগিতার অনুরোধ ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ডিএফও আনোয়ার।













