বাংলাধারা ডেস্ক »
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে ২৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
শনিবার দিবাগত রাতেই ৪ জন মারা গেছেন। আজ রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে মারা গেছেন একজন। তারা হলেন- আবদুল মালেক (৬২), মিজান হোসেন নিজাম (৪০), নাদিম (৪৫), শামীম (৪৫) ও জুলহাস।
এই ঘটনায় মসজিদের ইমাম সোবহানও মারা গেছেন। তার বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগরের পুটিয়াজুড়ি গ্রামে। তার ছেলে আব্দুল মালেকও শনিবার রাতে মারা গেছেন। এছাড়া মুয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে মারা যায় ছেলে জুনায়েদও (১৬)। দুদিন আগে গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার লাঙ্গলকোট থেকে বাবার কাছে এসেছিল সে।
নিহত অন্যান্যরা হলেন- মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার হাটবুকদিয়া গ্রামের কুদ্দুস ব্যাপারী (৭২), চাঁদপুর সদর উপজেলার করিম মিজির ছেলে মোস্তফা কামাল (৩৪), ফতুল্লার জুলহাস ফরাজির শিশু সন্তান জুয়েল (০৭), পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার আব্দুল খালেক হাওলাদারের ছেলে গার্মেন্টসকর্মী মো. রাশেদ (৩০), তল্লা এলাকার হুমায়ুন কবির (৭২), পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার কাউখালি গ্রামের মো. বেলায়েতের ছেলে জামাল আবেদিন (৪০), গার্মেন্টসকর্মী ইব্রাহিম বিশ্বাস (৪৩), নারায়ণগঞ্জ নিউ খানপুর ব্যাংক কলোনির কলেজছাত্র মো. রিফাত (১৮), চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার শেখদী গ্রামের মৃত মহসিনের ছেলে মাইনুউদ্দিন (১২), ফতুল্লার আনোয়ার হোসেনের ছেলে জয়নাল (৩৮), লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার তালুক পলাশী গ্রামের গার্মেন্টসকর্মী নয়ন (২৭), ফতুল্লার আব্দুল খালেকের ছেলে বাহার উদ্দিন (৫৫) এবং তল্লার কাঞ্চন হাওলাদার (৫০)।
এদিকে, শনিবার বিকেল ৩টা থেকে এ ঘটনায় নিহত ১৬ জনের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক ও জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. জাহেদ পারভেজ চৌধুরী উপস্থিত থেকে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেন।
শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ৯টার দিকে ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে ভয়াবহ এসি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এরপর দগ্ধ ৩৭ জনকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। এরমধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এ পর্যন্ত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি মুসল্লিদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
বাংলাধারা/এফএস/এএ













