বাংলাধারা প্রতিবেদন »
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, ইদানিং কোন ধরণের অনুমতি ছাড়া নগরীতে সরকারি জায়গা-জমি দখল করে যেখানে সেখানে মসজিদ নির্মাণের একটা প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সরকারি সম্পত্তি আত্মসাৎ করার হীন মানসিকতায় সরকারি ও বিরোধপূর্ণ জায়গায় মসজিদ নির্মাণের মাধ্যমে স্থাপনা গড়ে তোলা সরকারিভাবে আইনত অপরাধ।
তিনি বলেন, এধরণের অবধৈ স্থাপনা অপসারণে উদ্যোগ নেয়া হলে, ধর্মীয় ইস্যুকে সামনে নিয়ে আসে কিছু কুচক্রি মহল। তাই দেশের আলেম-ওলামাদের খেয়াল রাখতে হবে, যাতে কোন মহল যাতে ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে দেশে ফ্যাসাদ ও অস্থীতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে না পারে। মসজিদের জায়গা ওয়াক্ফ এস্টেটের অধীনে থাকা সরকারি নিয়ম।
বুধবার (২ ডিসেম্বর) সকালে সিটি কর্পোরেশনের টাইগারপাসস্থ বাটালী হীলের অফিসে চট্টগ্রাম নগরীর আলেম-ওলেমাদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
আলেমগণ বলেন, কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি দুরভিসন্ধিমূলক হয়ে দখলের মানসিকতা নিয়ে সরকারি জায়গা জমিতে কোন মসজিদ-মাদ্রাসা নির্মাণ করে তা গুনাহ্ ও অপরাধ। ইসলাম এ ধরনের অপরাধকে কখনো অনুমোদন করেনা। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের জায়গা ও নালা দখল করে পিসি রোডে মাজার ও শেরশাহতে যে মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে তা ঠিক নয় বলে ওলামারা মত দেন। এ ধরণের কর্মকাণ্ড- ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী। জনস্বার্থে এধরনের স্থাপনা অপসারণ করা উচিত বলে আলেম-ওলামাগণ ফতোয়া দেন। তারা এসব কাজে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে অইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া উচিত বলে উল্লেখ করেন।
এ সময় প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম ও স্বাক্ষাতপ্রার্থী আলেম-ওলামাদের মধ্যে জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসার আল্লামা সৈয়দ মোহাম্মদ অছিয়র রহমান, বায়তুশ শরফ কমিল মাদ্রাসার আল্লামা মোহাম্মদ সৈয়দ আবু নোমান, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসার কাজী মোহাম্মদ আবদুল ওয়াজেদ, আল আমিন বারীয়া মাদ্রাসার আল্লামা আবদুল আজিজ আনোয়ারী, মাদ্রাসা-ই-ইসলাময়িা তৈয়বিয়া সুন্নিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আল্লামা মোহাম্মদ বদিউল আলম রেজভী, ফতেপুর মনজুরুল ইসলাম সিনিয়র মাদ্রাসার আল্লামা জামাল উদ্দীন, দারুল মারিফ মাদ্রাসার আল্লামা মোহাম্মদ ফোরকানুল্লা খলিল, দারুল মারিফের আমিনুল ইসলাম, চসিকের মাদ্রাসার পরিদর্শক হারুনুর রশিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাধারা/এফএস/ওএস/এআর













