২৩ অক্টোবর ২০২৫

মস্তিষ্ক দিয়ে যে হৃদয় নিয়ন্ত্রণ হয়,

সেখানে আবেগ আর অনুভূতির রঙ ধীরে ধীরে ম্লান হয়ে যায়।
ভালোবাসা আর অশ্রু, আনন্দ আর বেদনা সবই তখন
পরিমাপ হয় হিসেব-নিকেশের দাড়িপাল্লায়।
প্রতিটি হাসি, প্রতিটি আলিঙ্গন, প্রতিটি ত্যাগ
হিসাবের খাতায় লাভ-ক্ষতির অঙ্কে বাঁধা পড়ে।

যেখানে প্রতিটি স্পন্দনের আগে
গণনা হয় “আমার কী লাভ?”
সেখানে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়
হৃদয়ের স্বচ্ছতা, সেই শিশুর মতো নিষ্পাপ নির্মলতা।
কারণ মস্তিষ্কের শাসনে চলে এমন হৃদয়
যে আর কাউকে অকারণে ভালোবাসতে জানে না,
যে আর কাউকে কষ্টে পাশে দাঁড়াতে পারে না
যদি না তাতে নিজের স্বার্থের কিছু অংশ মেলে।

এভাবেই জন্ম নেয় স্বার্থপরতা
যা একসময় ভালোবাসার ভাষা জানত,
কিন্তু এখন কেবল ব্যবহার করার কৌশল জানে।
এমন হৃদয় ভালোবাসাকে নয়,
মানুষকেও একটি সুযোগ, একটি বিনিয়োগ,
একটি উপায় হিসেবে দেখে।

তখন সম্পর্ক আর সম্পর্ক থাকে না
থাকে কেবল লেনদেন, সমঝোতা, এবং শর্তের বেড়াজাল।
হৃদয় তখনও ধুকপুক করে,
কিন্তু তার প্রতিটি স্পন্দন মস্তিষ্কের অনুমতি নিয়ে চলে।
এবং সেই অনুমতিপত্রে লেখা থাকে
“প্রথমে আমি, পরে বাকিরা।”

অবশেষে, এই স্বার্থপর হৃদয়
নিজেই নিজের দেয়ালে বন্দী হয়ে যায়।
বাইরে থেকে দেখতে সুন্দর,
কিন্তু ভেতরে শুন্যতার প্রতিধ্বনি ছাড়া কিছুই নেই।

আরও পড়ুন