রবিউল হোসেন রবি »
মহাসড়কের এক পাশের ছয় অংশে ভাঙন। সেই ভাঙা অংশ গিয়ে পড়ে আছে খালে। ফলে, বন্ধ হয়েছে খালের স্বাভাবিক পানি চলাচল। পানি জমে গিয়ে তাতে ভাসছে গৃহস্থালির বর্জ্য এবং আবর্জনা।—এমন চিত্র দেখা গেছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের শাহ আমানত সেতু সংযোগ সড়কের এক কিলোমিটার অংশে গিয়ে। প্রায় ৫ মাস যাবত মহাসড়কের এমন হাল, তবুও কর্তৃপক্ষের নজরে পড়েনি এখনও।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের চাঁন্দগাও থানার সামনে থেকে রাহাত্তারপুল এলাকা অব্দি অন্তত ৬টি অংশে ভেঙ্গে গেছে সড়কের পাশ। সেই ভাঙ্গা অংশগুলো পাশে থাকা খালে পড়ায় ভরাট হয়ে বন্ধ হয়ে আছে পানি প্রবাহ। সবচেয়ে বড় অংশটি ভেঙ্গেছে এম.এ.মান্নান ফ্লাইওভারের দক্ষিণ পাশে। সেখানে সড়কের প্রায় তিন ফুট প্রস্থের একটি বড় অংশ ভেঙে পড়ে আছে খালে।
জানা যায়, বহদ্দারহাট থেকে শাহ আমানত সেতু সংযোগ সড়কটি সংস্কার করা হয়েছে গত বছর। এতে দেওয়া হয়েছে নতুন পিচ ঢালাই। তবে পুরোনো রাস্তার বর্ধিত অংশগুলো বৃষ্টির কারণে ধসে পড়েছে পাশের খালে।
খালের একপাশে ছোট্ট একটি পান-সিগারেটের দোকান নিয়ে বসেন আফজাল। তিনি বলেন, ‘এইতো গতবছর সড়ক উঁচু করা হয়েছে। বৃষ্টির কারণে কয়েক দফা ক্ষয়ে গেছে রাস্তার নিচের মাটি।’ এসময় তাঁর দোকানের কিছু অংশও দেখা যায় ভেঙ্গে খালে দিকে ঝুঁকে আছে।
চার ফুট প্রস্থের এই উন্মুক্ত খালটির একপাশে মহাসড়ক এবং অন্য পাশে রয়েছে বেশ কিছু দোকান। যার মধ্যে রয়েছে—মুদি দোকান, রডের দোকানসহ বেশ কিছু ছাউনি যুক্ত চায়ের দোকান।

দেখা যায়, খালের ওপর থাকা লোহার তৈরি ব্রিজ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন ক্রেতা এবং বিক্রেতারা। ক্ষয়ে পড়েছে চায়ের দোকানের সামনে মহাসড়কের নিচের মাটি। ঝুঁকিপূর্ণ এই সেতুগুলোর উপর দিয়ে পারাপার হচ্ছে দালান প্রস্তুতের রড। নুর নগর হাউজিং স্টেট এর সামনে থেকে উন্মুক্ত খালটির ওপর ফুটপাত থাকলেও চাঁন্দগাও থানা থেকে এক কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত খালটি একদমই উন্মুক্ত।
শীঘ্রই খালটি পরিষ্কার করে পানি চলাচল স্বাভাবিক করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়ে ৬ নং পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এম আশরাফুল আলম বাংলাধারাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমি জানতাম না। এটা আমি আজকেই দেখব। আমাদের এক্সেভেটর ওই জায়গাতেই আছে। আজ অথবা কাল যত দ্রুত সম্ভব সড়কের ভাঙা অংশের পড়ে থাকা অংশ পরিষ্কার করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
‘বর্তমানে খাল পরিষ্কার করলেও খালের পানি যে জায়গায় যাবে সেনাবাহিনীর কাজের কারণে সেই খাল বন্ধ। ওদিকে পানি যাওয়ার আসলে সুযোগ নেই।’—যোগ করেন তিনি।
এবিষয়ে চট্টগ্রাম সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বাংলাধারাকে বলেন, ‘রাস্তার ভাঙা অংশ খালে পড়ার বিষয়টি আমার জানা ছিল না। সরেজমিনে আমি আগে পরিদর্শন করি। আগে আমাকে কেউ জানায়নি, আপনার (প্রতিবেদক) কাছ থেকেই এখন শুনলাম। পরিদর্শন করে আমি ব্যবস্থা নেব।’
বাংলাধারা/আরএইচআর













