৩০ অক্টোবর ২০২৫

মহিউদ্দিন চৌধুরী তাঁর সারা জীবন মানুষের জন্যই উৎসর্গ করেছেন : শিক্ষা উপমন্ত্রী

বাংলাধারা ডেস্ক »

তিন তিনবার নির্বাচিত সাবেক চট্টগ্রাম সিটি মেয়র চট্টলবীর এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্মরণে ‘এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ফাউন্ডেশন’ ইউ.কে. এর উদ্যোগে এক ভাচুর্য়াল স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ ভাচুর্য়াল সভার সভাপতিত্ব করেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি প্রাক্তন কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন। পরিচালনায় ছিলেন সাবেক ছাত্রনেতা ও ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক অভিজিত ধর বাপ্পি।

প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। বিশেষ অতিথি ছিলেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার সাঈদা মুনা তাসনীম।
আলোচনায় অংশ নেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর আনোয়ারুল আজিম আরিফ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক প্রফেসর ড. জ্যোতি প্রকাশ দত্ত, লন্ডন প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক বাসদ ছাত্র লীগ নেতা সৈয়দ আবদুল মাবুদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামীলীগ নেতা মো. ইউনুস, হাসান মাহমুদ শামসের, জামশেদুল আলম চৌধুরী, আমেরিকার ফ্লোরিডা প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইদ নজরুল ইসলাম হারুন, চট্টগ্রাম আনসার বাহিনীর কমান্ডার সাবেক ছাত্রনেতা আজিম উদ্দিন, সিপ্লাস টিভির পরিচালক আলমগীর অপু, চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের মহাসচিব মো. কামাল উদ্দিন, যুগ্ম মহা সচিব ডা. নাহিদা খানম, সাবেক ছাত্র নেতা অধ্যাপক আবু তাহের চৌধুরী, ইতালি বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি নুরুল কবির, প্রাক্তন ছাত্রনেতা নওশেদ রানা, সাবেক ছাত্র নেতা ও লন্ডন প্রবাসী মিজানুর রহমান, ন্যাপ নেতা মিঠুন দাশ গুপ্ত, নারী নেত্রী লায়লা আরজুমান বানু, কানিজ ফাতিমা লিমা, সুচিত্রা গুহ, লন্ডন প্রবাসী প্রবাসী সংস্কৃতি কর্মী নুরুন নবী আলী, গিনিচ রেকর্ডভূক্ত যন্ত্রশিল্পী ও লন্ডন প্রবাসী সুদর্শন দাশ, জার্মানি প্রবাসী প্রাক্তন ছাত্র নেতা বকুল ভূইয়া, অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী আইনজীবী রেজয়ান চৌধুরী প্রমুখ।

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, “আমার পিতা সারা জীবন মানুষরের জন্যই উৎসর্গ করেছেন। সব সময় তিনি চট্টগ্রামে উন্নয়নের জন্য অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন। সব কর্মকাণ্ডে আমার পিতার সাথে যাঁরা কাজ করেছেন, সহযোদ্ধা ছিলেন তাঁদের সবার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর প্রতি সম্মান জানানো মানে তাঁদের প্রতি সম্মান জানানো” ।

এসময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর হাতে বাংলাদেশের যে বিশাল উন্নয়ন কর্মকান্ড হয়েছে সে ধারা অব্যাহত রাখার জন্য এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর যে লক্ষে কাজ করতেন সেই লক্ষে তথা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জবিত হয়ে উন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বাস্তবায়ন জন্য তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে আরো শক্তিশালী করার আহবান জানান।

যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার সাঈদা মুনা বলেন, “এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য এ যাবত একজন মেয়র হিসাবে সবোর্চ্চ কর্মকান্ড করে গেছেন। তাঁর কথা মানুষ সব সময় স্মরণ করবে। তিনি চট্টগ্রামে উন্নত শিক্ষা এবং চিকিৎসা ব্যবস্থার জন্য সব সময় উদগ্রীব ছিলন বাস্তবায়নের জন্য। তাঁর এই আকাঙ্খা বাস্তবায়নে বিভিন্নভাবে প্রদক্ষেপ নিতে এগিয়ে আসতে সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসার আহবান জানাই। আর এই লক্ষে ব্যারিস্টার মনোয়ার ভাই সহ অন্যানরা যে কোনো পদক্ষেপ নিলে তাঁর পক্ষ থেকে প্রতি সর্বাত্মক সহযোগিতা দেয়া হবে ”

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি আনোয়ারুল আজিম আরিফ বলেন, “মহান স্বাধিনতা যুদ্ধ এবং পরবর্তিতে এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অবদান জাতি কখনো ভুলবে না।”

অধ্যাপক জোতি প্রকাশ দত্ত বলেন, “এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কাছে কেউ আসলে তার চেহারা দেখে তিনি ধরতে পারতেন, কি উদ্দেশ্যে ঐ ব্যাক্তিটি এসেছেন আর সেভাবে তিনি ব্যবস্থা নিতে পারতেন। তিনি মানুষকে চিনতে পারতেন বুঝতে পারতেন। এই জন্যই তিনি মানুষের কাছে ছিলেন অনেক প্রিয় পাত্র।”

সভাপতির বক্তব্যে ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন বলেন, “এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য যে অবদান রেখে গেছেন এবং অতীতে গণতন্ত্রের সংগ্রামে চট্টগ্রামে সামনে রাখার জন্য যে ভূমিকা পালন করেছেন তা কখনো ভুলবার নয়। তাঁর কাছ থেকে পরবতীর্ প্রজম্মের অনেক কিছু শিক্ষার আছে। তাঁর সাথে ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী গণ অভ্যুথ্থানের আগে প্রায় ৬ মাস কারাগারে থেকে অনেক কিছু জেনেছি ও শিখেছি | দেশের বাহিরে একটা বিশাল তরুণ প্রজম্ম রয়েছে তাঁদের এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর মতো নেতার সম্পর্কে অবহিত হতে হবে। তাদের সচেতন করা ও তাঁর সম্পর্কে জানানো ইত্যাদি কারণে এবং এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর মতো নেতার আন্তজার্তিক পরিসরে স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ফাউন্ডেশন ইউ.কে গঠন করা হয়েছে। এই সংগঠনের উদ্যোগে দেশে কিছু মহতি কর্মকান্ড পরিচালনা করা হবে।”

প্রাক্তন ছাত্রনেতা অভিজিৎ ধর বাপ্পি বলেন, “এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর একজন সহযোদ্ধা হিসাবে বলছি— এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ঘুমকে হারাম করে দলকে সংগঠিত করেছেন। পচাত্তর পরবতীর্তে তিনি চট্টগ্রাম মহানগরীতে আওয়ামীলীগকে শক্ত ভিত্তিতে দাঁড় করান এবং জনগণকে সংগঠিত করেছেন।”

প্রাক্তন ছাত্রেনেতা জামশেদ আলম চৌধুরী বলেন “এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সাথে আমার অনেক ঘনিষ্টতা ছিল। অনেক আন্দোলন সংগ্রামে তাঁর সাথে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। এজন্যে আমি গর্বিত মনে করি।”

আওয়ামীলীগ নেতা মো. ইউনুস বলেন, “৭৫ এর ১৫ আগস্টে জাতির জনককে স্বপরিবারে হত্যার পরে প্রতিবাদ করায় এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে ষড়যন্ত্র মামলা এবং অনেক হয়রানি করা হয় এবং আমি সহ তাঁর অনুসারীদেরকেও দীর্ঘদিন কারা নিযার্তনের শিকার হতে হয়েছে।”

আরও পড়ুন