সাগরে মাছ আহরণের পর তীরে ফিরে নোঙ্গর করা ট্রলারে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ১২ জেলে অগ্নিদ্বগ্ধ হয়েছে। দগ্ধদের মাঝে ৭০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত ১০ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি দুজন কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার দিকে কক্সবাজারের ৬নং জেটির রাশেদ সাহেবের ঘাটে কক্সবাজার পৌরসভার পশ্চিম নতুন বাহারছরার সেলিম বহদ্দারের ট্রলারে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
আহতরা হলেন— আইয়ুব (৩১), দীল মোহাম্মদ (৩০), রফিক (২৫), মনির(২৬), শফিকুল (২৬), আরমান (২০), রহিম (৩৭), রহিমুল্লাহ (৩০), শাহিদ(৩৫) এবং ওসমান (১৯)। বাকি দুজনের নাম এখনো জানা যায়নি।
আহতদের সকলেই কক্সবাজার শহরের ১নং ওয়ার্ডস্থ কুতুবদিয়া পাড়া ও সমিতি পাড়ায় বসবাসরত বাসিন্দা বলে জানা যায়।
তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে কক্সবাজার জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ জানান, দুর্ঘটনা কবলিত ট্রলারটির মালিক পশ্চিম নতুন বাহারছরার সেলিম বহদ্দার। বৃহস্পতিবার শেষরাতে আহরিত মাছ নিয়ে তীরে ফিরে ঘাটে নোঙ্গর করে। সকালে বোট মালিকসহ এলে মাছ বিক্রির অপেক্ষায় সকল মাঝিমাল্লা ঘুমে ছিলেন। সকাল ৮টার দিকে হঠাৎ গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আগুন লেগে যায় বলে জেনেছি। এসে ঘুমন্ত সকলে দগ্ধ হন। তবে, কেন এবং কিভাবে তা বিস্ফোরিত হলো সেটা এখনো বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়নি। জানা যায়নি আহত মাঝিমাল্লাদের নামও।
কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ব্যবসায়ী ঐক্য সমবায় সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদীন হাজারি জানান, বিস্ফোরণের শব্দ শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে সবাইকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আশিকুর রহমান বলেন, আগুনে দগ্ধ হওয়া ১২ জনকে সকালে হাসপাতালে আনা হয়। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ৭০ শতাংশ দগ্ধ হওয়া ১০ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি দুজন এখানে চিকিৎসাধীন। ফিশিং বোটে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এ দগ্ধতা বলে জানিয়েছে আহতরা। চট্টগ্রামে পাঠানোদের অবস্থা আশংকাজনক বলে দাবি করেন এ চিকিৎসক।
কক্সবাজার সদর থানার ওসি মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম ঘটনা জেনেছেন উল্লেখ করে বলেন, অতিরিক্ত দগ্ধদের চমেক পাঠানো হয়েছে, বাকি দুজন কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে। কিভাবে বিস্ফোরণ হলো তা খতিয়ে দেখার চেষ্টা চলছে।