৪ নভেম্বর ২০২৫

মাছ শিকারে গিয়ে নাফ নদীতে ডুবে জেলের মৃত্যু

কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীতে মাছ শিকারে গিয়ে নদীতেই ডুবে মরলেন এক জেলে। শনিবার (৮ জুলাই) সকাল ১০টায় হোয়াইক্যং ইউনিয়নের খারাইংগ্যাঘোনা নামক নাফ নদীর পয়েন্টে মর্মান্তিক এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল হালিম।

নিহত আমান উল্লাহ হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মনিরঘোনার (খারাইংগ্যাঘোনা) ঠান্ডা মিয়ার ছেলে। আমানের ১৫ দিনের এক ছেলে সন্তান রয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো অন্য জেলেদের সাথে ভোরে মাছ শিকারে যান আমান। নদীতে ছোট ছোট চর রয়েছে। একেক চরের মাঝখানে গভীরতা (স্থানীয় ভাষায় খাঁড়ি) থাকে। এক চর থেকে অন্য চরে যাওয়ার জন্য অন্য জেলেদের সাথে সাঁতার কেটে রওয়ানা দিলেও খাঁড়িতে জালসহ ডুবে যান আমান। অন্যরা পার হয়ে আমানকে দেখতে না পেয়ে খুঁজতে থাকেন। কিছু সময় পরে আমান ওই খাঁড়িতেই ভেসে উঠলে বিজিবি-পুলিশের সহায়তায় অপরাপর জেলেরা তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে।

ভিকটিমের পিতা ঠান্ডা মিয়া বলেন, আমার ছেলে আমান সকালে মাছ ধরার জাল নিয়ে নাফনদীতে গিয়েছিল। দুঘন্টা পরে খবর আসে সে (আমান) নাফনদীতে ডুবে গেছে। এরপর বিজিবি ও পুলিশ স্থানীয়দের সহায়তায় নাফনদী থেকে মরদেহ তুলে আনে। তবে কি কারণে সে মারা গেছে বলতে পারছি না।

আমানের প্রতিবেশী ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শোয়াইব জানান, দরিদ্র মানুষ হিসেবে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করতেন আমান। তার বউ ১৫ দিন আগে একটি ছেলে সন্তান জন্ম দিয়েছে। এ ঘটনায় তার পরিবার ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে।

টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবদুল হালিম জানান, শনিবার দুপুরের দিকে হোয়াইক্যং সংলগ্ন নাফনদী থেকে নৌ-পুলিশ ও বিজিবির সহায়তায় আমান উল্লাহ নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ