২৩ অক্টোবর ২০২৫

মাতারবাড়ি কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পে নথি জালিয়াতি: সাবেক ডিসি-জজসহ পাঁচজনের বিচার শুরু

কক্সবাজারের মাতারবাড়ি কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য ভূমি অধিগ্রহণে নথি জালিয়াতির মামলায় কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি), সাবেক জেলা ও দায়রা জজসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান এ আদেশ দেন। আদালত আগামী ৩ আগস্ট থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন।

দুদকের কৌঁসুলি কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাবলু জানান, প্রায় ৪০ মিনিটের শুনানি শেষে আদালত মামলার সব আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন এবং ৩ আগস্ট বাদীর সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন। পাশাপাশি, আসামিদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের ৩ আগস্ট পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে।

অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে থাকা পাঁচ আসামি এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তারা হলেন—কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিন, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদার, জেলা জজ আদালতের স্টেনোগ্রাফার মো. জাফর আহমদ, আইনজীবী মোস্তাক আহমদ চৌধুরী এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নাজির স্বপন কান্তি পাল।

২০১৪ সালের ১৯ নভেম্বর স্থানীয় বাসিন্দা এ কে এম কায়সারুল ইসলাম চৌধুরী কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি এলাকায় কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রায় ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

প্রথম মামলায় তৎকালীন ডিসি রুহুল আমিনসহ ২৮ জনকে আসামি করা হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে দুদককে তদন্তের নির্দেশ দেয়। তবে জেলা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদার মামলার নথি দুদকে পাঠানোর সময় প্রধান আসামির (ডিসি) নাম বাদ দেন।

এ ঘটনায় বাদী নতুন করে আরেকটি জালিয়াতির মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন ২০২৪ সালের ১ জুলাই পাঁচজনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্তে সহযোগিতার প্রমাণ মেলায় বাকি দুজন সরকারি কৌঁসুলি আবদুর রহিম এবং সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এস এম শাহ হাবিবুর রহমানকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি আদালত পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরবর্তীতে তারা আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন।

আগামী ৩ আগস্ট থেকে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে। সেদিন মামলার বাদী এ কে এম কায়সারুল ইসলাম চৌধুরীর সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হবে।

আরও পড়ুন