বাংলাধারা প্রতিবেদন »
মানবতার কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে রাঙামাটির সু-যোগ্য জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ। জেলা প্রশাসক মামুনুর রশিদ রাঙামাটিবাসীর জন্য একজন চৌকস অভিভাবক বললেও চলে। তিনি সরকারি বেসরকারি সকল কর্মকান্ড শেষ করে দিনের শেষে আবার এই এলাকার হতদরিদ্র মেহনতি মানুষের জন্য নিজ উদ্যোগে কাজ করেন।
জেলা প্রশাসক রাঙামাটির উন্নয়ন, অবহেলিত জনপথ, শিক্ষা চিকিৎসা সংস্কৃতি, তৃণমূল পর্যায়ে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ ও মামলা মোকাদ্দমা বিষয় সমস্যার সমাধান করে থাকেন। প্রতিদিন দিন তো আর্থিক সহায়তা আছেই। এছাড়া সপ্তাহের প্রতি বুধবার তিনি জেলার সাধারণ মানুষের কাছ থেকে তাদের সুঃখ দুঃখের কথা শুনেন। প্রতি বুধবারে জেলা প্রশাসক গণশুনানির মাধ্যমে সেলাই মেশিন বিতরণ, ফ্রি ওষধ বিতরণ ও বিনামূলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই বিতরণসহ নগদ অর্থ প্রদান করেন।

জেলা প্রশাসক মামুনুর রশিদের অনেক গুলো গুণ আছে। তার মধ্যে বড় গুণহলো সে মানুষকে ছোট করে দেখেনা। অবহেলাও করেনা। তিনি মানুষের উপকারে আসে অতিসহজে। অনেকে জেলা প্রশাসক মামুনুর রশিদকে মানবতার ডিসি ও শিক্ষানুরাগি ডিসি বলে নাম দিয়েছেন এ এলাকার মানুষ। তিনি সত্যিকারের ও বাস্তবমূখী কোন সমস্যা দেখা দিলে সাথে সাথে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এজন্যই জেলা প্রশাসকের প্রতি এই এলাকার মানুষের ভালবাসা ও শ্রদ্ধা অম্লান হয়ে থাকবে চিরদিন।
জেলা প্রশাসক একেএম মামুরুর রশিদ বলেন, গত ৬ মার্চ ২০১৮ রাঙামাটি জেলা প্রশাসক হিসাবে যোগদান করি। আমি রাঙামাটি জেলা প্রশাসক হিসাবে যোগদানের পর হতে এপর্যন্ত সরকারের গৃহীত কর্মসূচির আওতায় প্রকল্প সমূহ এলাকার উন্নয়নে সকলের সার্বিক সহযোগিতায় বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। তবে এই এলাকার বৃত্তশালীদের আরো সহযোগিতা পেলে উন্নয়ন করা সহজতর হতো। আমি যথেষ্ট চেষ্টা করছি এই এলাকার গরিব অসহায় হতদরিদ্র লোকদের কিছু দিয়ে যেতে। তবে উন্নয়ন করার স্বাদ আছে তেমন স্বাধ্য নেই। কারন আমার বরাদ্দ সীমিত। তার পরও যথাযথ চেষ্টা করছি গরিব অসহায় মানুষদের পাশে থাকতে।

জেলা প্রশাসক রাঙামাটি জেলার ১০ উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলো ঘুরে ঘুরে দেখেছেন কোথায় অবহেলিত। কোথায় উন্নয়ন দরকার, কোথায় স্কুল কলেজ নাই কোথায় যাতায়াতের সমস্যা। তিনি কখনো পাহাড়ি বাঙালি ভেদাভেদ করেননি। জেলা প্রশাসনের অধীনেস্থ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), এনডিসি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা ও অত্যন্ত আন্তরিক।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম













