সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেছেন, মানব পাচার প্রতিরোধে জনসচেতনতার বিকল্প নেই। মানব পাচার সংক্রান্ত প্রচলিত আইন সম্পর্কে সকলের ধারণা থাকতে হবে। এ ছাড়া যারা বিদেশ গমনে ইচ্ছুক তাদের সংশ্লিষ্ট দেশের ওয়ার্ক পারমিট, ভিসা প্রসেসিং এ জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এবং ভিসা সহ গমনাগমন সংক্রান্ত আনুষাঙ্গীক কাগজ-পত্র সম্পর্কে জানতে হবে।
সোমবার (২৭ মে) সিআইডির ডিটেকটিভ ট্রেনিং স্কুলে ‘ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ট্রেইনিং অন ইনভেস্টিগেশন টেকনিক্স অব হিউম্যান ট্রাফিকিং কেজেস’ শীর্ষক ২ দিনের প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কোর্সটিতে সহকারী পুলিশ সুপার একজন, পুলিশ পরিদর্শক ১৪ জন এবং উপ-পুলিশ পরিদর্শক ২০ জনসহ মোট ৩৫ জন অংশগ্রহণ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেছেন, মানব পাচার সংক্রান্ত প্রচলিত আইন সম্পর্কে সকলের ধারণা থাকতে হবে। এছাড়া যারা বিদেশ গমনে ইচ্ছুক তাদের সংশ্লিষ্ট দেশের ওয়ার্ক পারমিট, ভিসা প্রসেসিংয়ে জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এবং ভিসাসহ গমনাগমন সংক্রান্ত আনুষাঙ্গীক কাগজ-পত্র সম্পর্কে জানতে হবে।
মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমনের লক্ষ্যে তদন্তকারী ও তদন্ত তদারকী কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এই কোর্সের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কমান্ড্যান্ট (ডিটিএস), অ্যাডিশনাল ডিআইজি হাসিব আজিজ। জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের সহযোগিতায় এই কোর্সটি পরিচালিত হচ্ছে।
সিআইডি প্রধান উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, দ্রুত অপরাধীদের শাস্তি এবং সাক্ষীদের নিয়মিত কোর্টে হাজির করার জন্য সিআইডি হেডকোয়ার্টারে একটি মানব পাচার সেল গঠন করা হয়েছে। সেলে মানব পাচারের শিকার ভিকটিম সাপোর্ট, মানব পাচার সংক্রান্তে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে মামলা রুজু করার ব্যবস্থা গ্রহণ, মামলা অধিগ্রহণ, তদন্ত ও তদারকি, গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে।
তিনি যেকোনো ধরনের মানব পাচার বা প্রতারক কর্তৃক প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হলে অথবা সন্দেহ হলে তাৎক্ষণিকভাবে সিআইডির মানব পাচার সেলে যোগাযোগ করার আহ্বান জানান।













