২৬ অক্টোবর ২০২৫

মানবিক ও পেশাগত কাজেই ঈদের আনন্দ উপভোগ করেছেন সিএমপি’র সদস্যরা

বাংলাধারা প্রতিবেদন »  

দেশের মানুষ যখন আপন মনে, আপন জনদের নিয়ে ঘরে বসে ঈদ উদযাপন করছে, ঠিক তখন মরণঘাতী মহামারি করোনা ভাইরাসের দুর্দিনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে জনগণের নিরাপত্তা দিয়ে চলেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।

সোমবার (২৫ মে) পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের দিন নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মসজিদে ঈদের জামাত স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আদায় করছে কিনা,সরকারি বিধি নিষেধ অমান্য করছে কিনা তা পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করেন পুলিশ।

করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের খোঁজখবর রাখা, পারকি বিচ, পতেঙ্গা বিচ,আনন্দ বাজার বেড়ীবাঁধ, ফয়েসলেক সহ বিভিন্ন বিনোদন পার্কে দর্শনার্থীদের জমায়েত ঠেকানো, এক এলাকার মানুষ অন্য এলাকায় যাওয়া ঠেকানো, ব্যাংক-বীমা আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ জনশুন্য মার্কেটগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সহ স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে কিনা ইত্যাদি মানবিক ও পেশাগত কাজেই ঈদের আনন্দ উপভোগ করেছেন সিএমপি’র বিভিন্ন বিভাগের পুলিশ সদস্যগণ।

নগরীর প্রত্যেকটি থানার অফিসার ইনচার্জ ঈদের নামাজে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করার কাজে ছিলেন ব্যস্ত। করোনা রোগী অথবা তার স্বজনরা অবাধে ঘুরাফেরার অসংখ্য অভিযোগ মুঠোফোনে পেয়ে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন তারা।

পূর্বের গতিতেই চলছে নিয়মিত কার্যক্রম। সকল থানায় আসামি গ্রেপ্তার সহ বিভিন্ন অপরাধ প্রতিরোধমূলক অপারেশনাল কাজ অব্যাহত ছিল। পর্যটন স্পট সমূহে জনসমাগম বন্ধ রাখতে নিয়োজিত ছিল বিশেষ টিম। সিটিগেইট ও মইজ্জারটেক সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশের চেকপোস্ট ছিল নজর কাড়ার মতো।

এছাড়া স্পেশাল ব্রাঞ্চ, কাউন্টার টেরোরিজম ও মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের বিভিন্ন অফিসার ফোর্স নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ছিলেন গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের কাজে ব্যস্ত ।

করোনাভাইরাসের এই মহামারীতে জনগণকে নিরাপত্তা দিতে গিয়ে, জনগণের সেবা করতে গিয়ে ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের শতাধিক পুলিশ সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে। শহীদ হয়েছেন সিএমপির ২ জন বীর যোদ্ধা। তবুও থেমে নেই সিএমপি। ভয় কে জয় করে ঈদ ও তার পরবর্তী দিনগুলো রাস্তায় কাটাচ্ছেন তারা। এতেই ঈদের আনন্দ খুঁজে পেয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সদস্যগণ।

বাংলাধারা/এফএস/টিএম

আরও পড়ুন