খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার ১নং মানিকছড়ি, ২নং বাটনাতলী, ৩নং যোগ্যছোলা, ৪নং তিনটহরী- এই চারটি ইউনিয়ন পরিষদে গত কয়েকদিন যাবত ৪৭০ টাকা প্যাকেজে ৫ কেজি চাউল, ১ কেজি ডাল ও ২ কেজি সয়াবিন তেল টিসিবির পণ্য হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে টিসিবির পণ্য হিসেবে যে চাল বিক্রি করা হচ্ছে, সেই চালগুলো কোনো ভাবেই খাওয়ার উপযোগী নয়- এমন দাবি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে নিজের মন্তব্য সহ টিসিবির চালের ছবি পোস্ট করেছেন ৪নং তিনটহরী ইউনিয়ন পরিষদের ২নং চেংগুছড়া ওয়ার্ডের মেম্বার মো. টিপু সুলতান। এ নিয়ে মানিকছড়ি উপজেলায় চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
তিনি জানান, টিসিবি ডিলারের মাধ্যমে বিতরণকৃত চালগুলোর মধ্যে আতপ চাল, সিদ্ধ চাল এবং বিভিন্ন জাতের ধানের চাল মিশ্রিত রয়েছে। তাছাড়া ওই চালগুলো সরকারি গুদামে থাকাকালীন অবস্থায় অনেক আগেই নষ্ট হয়ে যাওয়ায় রান্না করে খাওয়ার অনুপযোগী। টিসিবির ডিলাররা খুবই নিম্নমানের সস্তা চাউল বিভিন্ন মিল থেকে স্বল্প মূল্যে ক্রয় করে এই রমজান মাসে এলাকার গরিব-দুঃখী, নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে বিক্রি করছেন।
যা সাধারণ জনগণের সাথে প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয়।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, অনেক টিসিবি কার্ডধারী এসব নিম্নমানের চাল দেখে টিসিবির পণ্য না নিয়েই বাড়ি ফিরে গেছেন। ভুক্তভোগীরা সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সচিব, ট্যাগ অফিসার এবং মেম্বারদের উপর রাগ-ক্ষোভ প্রকাশ করে টিসিবির পণ্য না নিয়েই খালি হাতে চলে গেছেন বলেও জানান ওই ইউপি সদস্য। এতে করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার যে প্রশংসনীয় উদ্যোগ, সেই উদ্যোগকে বাধাগ্রস্ত এবং তৃণমুলে বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি ও সুনাম ক্ষুন্ন করার পাঁয়তারা চলছে বলেও জানান ইউপি সদস্য মো. টিপু সুলতান।
তিনি আরও বলেন, আমি তৃণমুলের একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে সাধারণ জনগণের পক্ষে কথা বলার অধিকার রাখি। তাই আমি এই দুর্নীতিমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত মানিকছড়ি উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও নিয়োগ প্রাপ্ত টিসিবির ডিও ডিলারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মোঃ সহিদুজ্জামান, মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দা সাদিয়া নূরীয়া ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীনের নিকট জোড়ালো দাবি জানাচ্ছি।
নিজের নাম ও পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছেন ইউনিয়ন পরিষদের একজন চেয়ারম্যান ও একাধিক ইউপি সদস্য। তবে ইউপি সদস্য মো. টিপু সুলতানের উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা।













