বাংলাধারা ডেস্ক »
ইতিহাসের সবচেয়ে দুর্ভাগা চরিত্রগুলোর অন্যতম একজন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫তম প্রেসিডেন্ট জন ফিটজেরাল্ড কেনেডি বা জন এফ কেনেডি।
দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী প্রেসিডেন্টের মধ্যে তিনি ছিলেন চতুর্থ।
১৯৬১ থেকে ১৯৬৩ সাল নিহত হওয়ার আগ পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন কেনেডি। কেনেডিই ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম রোমান ক্যাথলিক প্রেসিডেন্ট। অনেকের কাছে তিনি অনুসরণীয় আদর্শ।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে যে কজন প্রেসিডেন্টকে মানুষ মনে রেখেছে। তাদের মধ্যে অন্যতম প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি। তাঁর মৃত্যুর ঘটনাটি আজও ইতিহাসের অমিমাংসিত এক অধ্যায়।
১৯৬৩ সালে প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডিকে হত্যার ঘটনার ব্যাপারে আরও দু হাজার আটশো গোপন নথি প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার।
প্রেসিডেন্ট কেনেডিকে কেন হত্যা করা হয়েছিল তা নিয়ে নানা ধরণের ‘ষড়যন্ত্রের’ জল্পনা আছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এসব গোপন নথি প্রকাশের যুক্তি তুলে ধরে বলেন, জনগণের অধিকার আছে ঠিক কী ঘটেছিল, তা জানার।
কিন্তু সর্বশেষ দফায় সব গোপন নথি প্রকাশের কথা থাকলেও একেবারে শেষ মুহূর্তে কিছু নথির প্রকাশ স্থগিত রাখা হয়েছে ‘জাতীয় নিরাপত্তার’ অজুহাতে।
যেভাবে কেনেডিকে হত্যা করা হয়:
১৯৬৩ সালের ২২শে নভেম্বর যখন প্রেসিডেন্ট কেনেডিকে হত্যা করা হয় তখন তিনি একটি ছাদ-খোলা লিমুজিনে চড়ে ডালাসের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন।
ঐ রাস্তার ওপর নজর রাখা যায় এমন একটি ভবনের জানালা দিয়ে লী হার্ভি অসওয়াল্ড গুলি করে তাঁকে হত্যা করেন বলে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ারেন কমিশনের রিপোর্টে দাবি করা হয়।
তবে এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে নানা রকম ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়িয়ে পড়েছিল। ওয়ারেন কমিশন অবশ্য বলেছিল লী হার্ভি অসওয়াল্ড, বা তাকে হত্যকারী জ্যাক রুবি আসলে কোন বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল না।
কিন্তু তার পরও কেনেডি হত্যাকাণ্ড নিয়ে জল্পনা-কল্পনা থামেনি।
বাংলাধারা/এফএস/এআই













