বাংলাধারা প্রতিবেদক »
চট্টগ্রামে সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত মালয়েশিয়ার অনারারি কনসাল ও পিএইচপি অটোমোবাইলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আকতার পারভেজ বলেছেন, মালয়েশিয়া আমাদের পরম বন্ধু। আমি আশাকরি উভয় দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক আগামীতে শক্তিশালী হবে। মালয়েশিয়ার সঙ্গে আমাদের ব্যবসা বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে। আমার আব্বা সুফি মিজানুর রহমানের আহ্বানে মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ বাংলাদেশে এসেছিলেন। এরপর মালয়েশিয়ার সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক তৈরি হয়। দেশে প্রথমবারের মতো অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারিং প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে। আমি তার দায়িত্ব পালন করছি।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টায় নগরের নাসিরাবাদ হাউজিংয়ে পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মুহাম্মদ মিজানুর রহমানের বাসভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মালয়েশিয়ার অনারারি কনসাল নিয়োগ পেয়ে প্রথমবারের মতো ওয়েলকাম ডিনারের আয়োজন করেছেন পিএইচপি অটোমোবাইলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আকতার পারভেজ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত মালয়েশিয়ার হাই কমিশনার হাজনা মোহাম্মদ হাশিম।
মালয়েশিয়া-বাংলাদেশের সুসম্পর্ক প্রসঙ্গে আকতার পারভেজ বলেন, ‘মালয়েশিয়ান হাই কমিশনার হাজনা মোহাম্মদ হাশিম ঢাকায় অফিস করেন। চট্টগ্রামে খুব অল্প সময়ের জন্য এসে আমাদের ফ্যাক্টরি পরিদর্শন করেছেন। এরপরও তিনি অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে আমাদের সময় দিয়েছেন। উভয় দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক আগামীতে শক্তিশালী হবে।’
মালয়েশিয়ার হাই কমিশনার হাজনা মোহাম্মদ হাশিম বলেন, ‘মালয়েশিয়া সবসময় বাংলাদেশের পাশে ছিল, আগামীতেও থাকবে। মোহাম্মদ আকতার পারভেজ বাংলাদেশের একজন ব্যবসায়ী। তিনি বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারিং প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। তার মত একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান ব্যক্তিকে অনারারি কনসাল হিসেবে নিয়োগ দিতে পেরে মালয়েশিয়ার সরকার আনন্দিত। আশা করি মালয়েশিয়া এবং বাংলাদেশের মধ্যে ভবিষ্যত সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রোটন ভালোভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আশা করছি, এভাবে মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও মজবুত হবে। সবশেষে আমি সবাইকে জানাতে চাই, মালয়েশিয়ার মেডিক্যাল এখন বেশ উন্নত। হেলথ চেকআপের জন্য আমি সবাইকে আহ্বান করছি।’
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে একটি গান পরিবেশন করে বক্তব্য রাখেন পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মুহাম্মদ মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘সুখ কেনা যায় না। সুখ মালিকানায় নেওয়া যায় না। মহাকবি গালিব বের হয়ে একটি গোলাপ দেখে বলেছেন, আমি একটা গোলাপ দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। তাকে আর পুরো বাগান ঘুরতে হয়নি। আমরা মানব সন্তান হয়ে পৃথিবীতে এসেছি, এটাই সবচেয়ে মূল্যবান। এ জীবনকে উপভোগ করা দরকার।’
তিনি জীবনের শিক্ষা গ্রহণে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সম্পর্কের গুরুত্ব তুলে ধরে আব্রাহাম লিংকনের একটি লেখা পাঠ করেন। চিঠিতে আব্রাহাম লিংকন তার সন্তানের মানবিক মূল্যবোধ নিয়ে একজন আদর্শ মানুষ হওয়া প্রসঙ্গে শিক্ষকের সম্মান ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, ‘শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সম্পর্ক যদি শুষ্ক হয়, তাহলে তা শিক্ষার্থীর জন্য যেমন দুর্ভাগ্যের, তেমনি শিক্ষকের জন্যও খুব দুর্ভাগ্যের। এটা যেন কোনোভাবে ব্যবসায়িক না হয়। আমার জীবনে হিংসা করার কিছু নাই। আমি সবার মঙ্গল চাই।’













