৩ নভেম্বর ২০২৫

মালিতে সেনাবাহিনী-বিদ্রোহী সংঘর্ষে নিহত ৫৬

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষে ৫৬ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১০ জন সেনা এবং ৪৬ জন বিদ্রোহী যোদ্ধা।

মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় তুয়ারেগ বিদ্রোহীদের সাথে মালির সামরিক বাহিনীর মারাত্মক এই সংঘর্ষ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোঅর্ডিনেশন অব আজওয়াদ মুভমেন্টস (সিএমএ) নামক একটি জোট গত আগস্ট মাস থেকে মালির সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের প্রস্থানের জেরে এই লড়াই শুরু হয়। যদিও জাতিসংঘের ওই শান্তিরক্ষা মিশন বছরের পর বছর ধরে ভঙ্গুর পরিস্থিতিতে হলেও দেশটিতে শান্ত রাখতে সাহায্য করেছিল।

কিন্তু জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের সম্প্রতি খালি করে দেওয়া অঞ্চলগুলোতে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ তীব্রতর হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।

মালির সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফ বলেছেন, মঙ্গলবার তার পক্ষে থাকা ১০ জন যোদ্ধা নিহত হয়েছেন এবং বোরেমের কাছে তারা একটি আক্রমণ প্রতিহত করেছে। এছাড়া অভিযানের সময় ৪৬ শত্রু যোদ্ধাও নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

রয়টার্স বলছে, মালির উত্তরাঞ্চলের আধা-যাযাবর তুয়ারেগ জনগোষ্ঠীর সদস্যদের নিয়ে সিএমএ গঠিত হয়েছিল। এসব মানুষ দীর্ঘদিন ধরে সরকারি অবহেলার অভিযোগ করে আসছেন এবং তাদের মরুভূমি অঞ্চলের জন্য স্বায়ত্তশাসন দাবি করে আসছেন।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সাল থেকে মালি শাসন করছে সামরিক জান্তা। নিরাপত্তাহীনতা বাড়তে থাকায় দেশটিতে ২০২০ ও ২০২১ সালে পরপর দুটি অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বুবাকার কেইতার বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভের পর জান্তা যখন ক্ষমতা দখল করে তখন তাদের পক্ষে ব্যাপক জনসমর্থন ছিল।

উল্লেখ্য, আফ্রিকা মহাদেশের অন্যতম বৃহৎ দেশ মালি খুবই দরিদ্র। এছাড়া সাহেল অঞ্চলজুড়ে বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে যে সংঘাত চলছে মালি তার উপকেন্দ্র। বছরের পর বছর ধরে দেশটিতে জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে হাজার হাজার সৈন্য ও বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং প্রায় ২০ লাখ মানুষ বাস্ত্যুচুত হয়েছেন।

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ