২৮ অক্টোবর ২০২৫

‘মাশরুম রপ্তানির সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারছে না বাংলাদেশ’

‘মাশরুম চাষের জন্য বাংলাদেশের আবহাওয়া বিশেষভাবে উপযোগী। বাংলাদেশে প্রায় সারাবছরই চাষ করা যায় এই সবজি। বিশ্ববাজারে পুষ্টি ও ঔষধিগুণে ভরপুর এই সবজির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। শুধু মাত্র চীনেই প্রতি বছর ৬১ লক্ষ মেট্রিক টন মাশরুমের ঘাটতি রয়েছে। তাই মাশরুম উৎপাদন ও রপ্তানির করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনে সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের। তবে সচেতনতা ও পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের অভাবে সে সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারছে না বাংলাদেশ।’

মাশরুম চাষ বিষয়ক দিনব্যাপী এক কর্মশালায় এসব কথা বলেন বক্তারা।

শনিবার, (৩ ফেব্রুয়ারি) উইমেন এন্টারপ্রেনারস অব বাংলাদেশ (WEB) ফাউন্ডেশন ও জমজম মাশরুম ফুডস’র যৌথ আয়োজনে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার জাহানাবাদ এলাকায় ট্রাই নারী ও যুব উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের ট্রেনিং সেন্টারে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

জমজম মাশরুম ফুডস’র স্বত্বাধিকারী ও জাতীয় পুরষ্কারপ্রাপ্ত মাশরুম উদ্যোক্তা মরিয়ম আক্তার লাবন্যলতা কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন WEB Foundation এর সভাপতি রুপা আহমেদ, ট্রাই নারী ও যুব উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের সভাপতি আইরিন নেছা মুনমুন।

মরিয়ম আক্তার লাবন্যলতা বলেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, শিল্পায়ন ও নগরায়নের বাংলাদেশে প্রতিবছর কৃষি জমি কমছে। অন্যদিকে বাড়ছে খাদ্যের চাহিদা। বাড়তি এই খাদ্যের চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতে পারে মাশরুম।

তিনি বলেন, মাশরুম চাষে কোন মাটি ও রাসায়নিক সার প্রয়োজন হয় না। অল্প জায়গায় উলম্ব পদ্ধতিতে তাকে তাকে অনেক বশি ফলন পাওয়া যায়। বাজারে দামও পাওয়া যায় ভালো। আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় রয়েছে রপ্তানির বিশাল সম্ভাবনা। তবে প্রান্তিক পর্যায়ে যথাযথ সচেতনতার অভাবে সেই সম্ভাবনা কাজে লাগানো যাচ্ছে না।

রুপা আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ের নারীদের মাঝে মাশরুম চাষ বিষয়ক সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে WEB Foundation। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নারীদের মাশরুম চাষে দক্ষ করে তোলার কাজও করছি আমরা। প্রান্তিক নারীরা মাশরুম চাষে এগিয়ে এলে দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখতে পারবে।

কর্মশালা শেষে এতে অংশ নেয়া ৩০ জন প্রশিক্ষনার্থীর হানতে সনদ ও একটি করে মাশরুমের স্পন তুলে দেয়া হয়।

আরও পড়ুন