তারেক মাহমুদ »
সম্প্রতি প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস আতঙ্কে বিশ্বজুড়ে মাস্কের ব্যবহার বেড়েছে। নগরীর মানুষের মাঝেও বেড়েছে মাস্ক ব্যবহারের পরিমাণ। ফলে হঠাৎ করে এর দাম বেড়েছে কয়েক গুণ। যোগান নেই বলে মাস্কের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে নগরীর এক শ্রেণির মুনাফালোভী ব্যবসায়ী। এদিকে মাস্ক পাওয়া যাচ্ছে না বলে রবও উঠেছে চারিদিকে। মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের ধরতে ঢাকায় আজ থেকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর অভিযানে নামলেও চট্টগ্রামে এ ধরণের কোন কার্যকলাপ পরিলক্ষিত হয় নি।
নগরীর বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি দোকান ঘুরে দেখা যায়, ‘করোনা’ আতঙ্কে সার্জিক্যাল মাস্কের চাহিদা অনেক বেড়ে যাওয়ায় দোকানদার, মাস্ক কোম্পানী এবং সংশিষ্টরা এর ফায়দা নিচ্ছে। ১০০ থেকে ১২০ টাকার প্রতিবক্স সার্জিক্যাল মাস্ক বিক্রি করছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায়। এছাড়াও, ভ্রাম্যমান দোকানে প্রতি পিস ১০ টাকার মাস্ক বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকায়।
নগরীর জিইসি মোড়ের সেন্ট্রাল শপিং কমপ্লেক্সের সামনে মাস্ক বিক্রেতা আবদুল্লাহ বাংলাধারাকে জানান, কিছু দিন আগেও সার্জিক্যাল মাস্ক প্যাকেটের ক্রয় মূল ছিল ১০০ থেকে ১২০ টাকা, সেটি এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০০ থেকে ৪৫০টাকা। আর আমদানি করা বিদেশি ফিল্টার মাস্ক বাজারে নেই বললেই চলে। এই সংকটের কারণে ফিল্টার মাস্ক খুচরায় ৩০ থেকে ৫০ টাকার বদলে বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়।
হাজারীর গলির ঔষধ ব্যবসায়ী করিম বাংলাধারাকে জানান, সার্জিক্যাল মাস্কগুলো সাধারণত চীন থেকেই আমদানি হয়। কিন্তু এখন চীনে করোনা ভাইরাসের কারণে আমদানি আপাতত হচ্ছেনা। তাই মাস্কের পাইকারী এবং খুচরা বাজারে প্রভাব পরেছে।
মাস্ক ব্যবহারকারী ইমতিয়াজ নোমান বাংলাধারাকে জানান, পরিবারের সবাই স্বাস্থ্য সচেতনতায় আগে থেকেই মাস্ক ব্যবহার করে। কিন্তু এখন করোনাভাইরাসের কারণে আরেকটু বেশি সচেতন হয়েছে সবাই। তবে যে মাস্ক নিয়মিত ৬ টাকায় কেনা হতো সেগুলো এখন বেড়ে ১০ টাকা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে মুনাফা বাড়ানোর সুযোগটা কাজে লাগাচ্ছে। আমার মনে হয় না দেশে মাস্কের সংকট আছে।
ক্রেতা আমিনুন বলেন , ‘করোনা’ ভাইরাস এবং শহরের বায়ুদূষণের কারণে আমি এবং আমার পরিবার প্রতিনিয়ত মাস্ক ব্যবহার করি। হঠাৎ করে মাস্কের আকাশ চুম্বি দাম শুনে আমি হতবাক। ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে মাস্কের দাম বাড়িয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান বাংলাধারাকে জানান , ‘করোনা’ ভাইরাসের আবির্ভাবের পর থেকেই মাস্কের চাহিদা বেড়েছে। একইসঙ্গে সরবরাহও কমেছে ৷ ব্যবসায়ীরা প্রয়োজনের বেশি অতিরিক্ত মাস্ক আমদানি করে না। হঠাৎ বাজারে মাস্কের চাহিদা বাড়ায় কিছু সুবিধাবাদী ব্যবসায়ী মাস্কের দাম বাড়িয়েছে ,আমরা বাজার মনিটরিং করছি। আশা করি দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম













