বাংলাধারা প্রতিবেদন »
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সরকারের নির্দেশে সব ধরণের মানুষ বাড়িতে অবস্থান করছেন। এমনকি দিন এনে দিন খাওয়া গরীব-অসহায় মানুষগুলো যখন বাধ্য হয়েই ঘরে থাকছেন, তখন ঘর থেকে গ্রামের পর গ্রাম ছুটে চলেছেন চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার ১০ নং মিঠানালা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খায়রুল আলম খায়ের। তার এ ছুটে চলা গ্রাম ঘুরে দেখা কিংবা হোমকোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করার জন্য নয়। তিনি নিজেই খাদ্যসামগ্রীর ব্যাগ বহন করে অভুক্ত, অসহায়, দরিদ্র, হতদরিদ্র মানুষগুলোর বাড়ি বাড়ি পৌছে দিচ্ছেন।
মিঠানালার ঘরবন্দী, অসহায় মানুষদের ঘরে ঘরে নিজের অর্থে এভাবেই খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছেন চেয়ারম্যান খায়রুল আলম খায়ের। গতকাল দিনভর ও রাতে এমনভাবেই খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন বলে নিজের ফেসবুক ওয়ালে কয়েকটি ছবি দিয়েছেন।
চেয়ারম্যান খায়রুল আলম বলেন, খাদ্য সামগ্রীর বস্তা নিয়ে পুরো ইউনিয়নের শ্রমজীবী, অসহায়, ঘরবন্দী মানুষের বাড়িতে বাড়িতে পৌছে দিচ্ছি। আমার এলাকার কেউ না খেয়ে মরবে না। প্রয়োজনে কেউ যদি আমার সাথে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করে, তার বাসায় খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিব।
তিনি বলেন, ‘জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বান করেছেন জনপ্রতিনিধিদের জনগণের পাশে থাকার জন্য। আমি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই মানুষের বাড়ি বাড়ি খাদ্যসামগ্রী পৌছে দিচ্ছি। এই মানুষগুলোই আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। আমি চাইলে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে পারতাম। কিন্তু এই অভুক্ত মানুষগুলোকে রেখে আমি ঘরে থাকতে পারি না।’
তিনি আরো বলেন, শুধু যে করোনার জন্য খাদ্যসামগ্রী পৌছে দিচ্ছি তা নয়, আমি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই মানুষের পাশে আছি। বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হিসেবে সারাজীবন মানুষের সেবা করে যাবো। আর কোন অস
জানা গেছে, চেয়ারম্যান খায়রুল আলম খায়ের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে গরীব-অসহায়, কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের বাড়িতে বাড়িতে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিচ্ছেন। এছাড়াও সরকারিভাবে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ থেকে এ মিঠানালায় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ চলছে।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম













