২৩ অক্টোবর ২০২৫

মিরসরাইয়ের করেরহাটে ধানের শীষের প্রচারণায় বাধা

মিরসরাইয়ের ১ নম্বর করেরহাটে মিরসরাই উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও মিরসরাই আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী শাহীদুল ইসলাম চৌধুরীর শান্তিপূর্ণ প্রচারণা ও তারেক রহমান প্রণীত ৩১ দফা লিফলেট বিতরণে বাধা প্রদান করে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নুরুল আমিন চেয়ারম্যানের সমর্থকরা। এ সময় তারা শাহীদুল ইসলাম চৌধুরীর কর্মীদের হুমকি-ধমকি, উসকানিমূলক কটূক্তি ও গাড়িবহরে হামলা করে।

বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে করেরহাট বাজারে শাহীদুল ইসলাম চৌধুরীর গণসংযোগে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকালে তাদের ‘চেয়ারম্যান, চেয়ারম্যান’ বলে মিছিল দিতে দেখা যায়।

এ বিষয়ে শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সমগ্র মিরসরাইব্যাপী পদযাত্রা ও ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগের অংশ হিসেবে বুধবার সকালে করেরহাটে আমার গণসংযোগ কর্মসূচি ছিল। এর আগে আমি বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে গণসংযোগ করে জনগণের ব্যাপক সাড়া পাই। আমার সব গণসংযোগে বিপুল জনসম্পৃক্ততায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একদল বিপথগামী ও বিএনপি থেকে বহিষ্কৃতদের অনুসারীরা করেরহাটে আমার শান্তিপূর্ণ গণসংযোগে বাধা দেয় এবং একপর্যায়ে হামলা করে।

তিনি আরও বলেন, করেরহাট ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব ইয়াসিন মিজান ও সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জহির উদ্দিন বাবলুর নেতৃত্বে আমার শান্তিপূর্ণ গণসংযোগ ও দেশনায়ক তারেক রহমানের রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা লিফলেট বিতরণকালে তারা হামলা করে। আমি শান্তিপ্রিয় মানুষ। যে কোনো ধরনের উদ্ভূত পরিস্থিতি এড়াতে আমরা সেখানকার কার্যক্রম স্থগিত করি। হামলাকারী সকলে বহিষ্কৃত নুরুল আমিন চেয়ারম্যানের সমর্থক বলেও জানান তিনি।

শাহীদুল চৌধুরী বলেন, দলের বিপথগামী নেতাদের বিরুদ্ধে আমরা ইতোমধ্যে দলীয় সিদ্ধান্ত পেয়েছি। দল তাদের অপকর্মের শাস্তিস্বরূপ বহিষ্কার করেছে। তাদের অপকর্ম এখনো বন্ধ হয়নি। আমরা চাই প্রশাসন দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নিক তাদের বিরুদ্ধে।

প্রসঙ্গত, সমগ্র মিরসরাইব্যাপী পদযাত্রা ও গণসংযোগ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৬ নম্বর সাহেরখালী, ১৪ নম্বর হাইতকান্দি ইউনিয়ন, ৭ নম্বর কাটাছড়া ইউনিয়ন ও ১১ নম্বর মঘাদিয়ায় তারেক রহমানের ৩১ দফা লিফলেট বিতরণ ও ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ করেন শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী। এরই ধারাবাহিকতায় করেরহাটে গণসংযোগ করেন তিনি। ধাপে ধাপে মিরসরাই আসনের প্রতিটি ইউনিয়নে তিনি গণসংযোগ কর্মসূচি রেখেছেন।

আরও পড়ুন