চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় পৃথক দুটি অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ২২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ৩টায় উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নে এবং সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে দুর্গাপুর ইউনিয়নে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
করেরহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ অলিনগর গ্রামের আবুল কাশেমের বসতঘর সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। আগুনে তার ঘর, আসবাবপত্রসহ প্রায় ৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। অন্যদিকে, দুর্গাপুর ইউনিয়নের পূর্ব দুর্গাপুর গ্রামের শেখ আহম্মদ মৌলভী বাড়ির মৃত কবির আহমদের ছেলে নুর মোহাম্মদ রাজন ও মো. আবদুল মান্নানের টিনসেটের বসতঘর এবং রান্নাঘর সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে, এতে প্রায় ১৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
করেরহাট ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত আবুল কাশেম অভিযোগ করে বলেন, “রবিবার রাতে খাবার খেয়ে শুয়ে পড়ি। এরপর ঘরের বাইরে থেকে তালা দিয়ে কেউ আগুন ধরিয়ে দেয়। আমি আগুনে পুড়ে মরতে পারতাম। আমার ছেলে বাদশার সাথে লেনদেন নিয়ে স্থানীয় কয়েকজনের ঝামেলা চলছিল। কিছুদিন আগেও আমাকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল, এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছিলাম। আজ তারা আমার ঘরে আগুন দিয়ে আমার সবকিছু শেষ করে দিলো।”
দুর্গাপুর ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত মো. আবদুল মান্নান বলেন, “সোমবার সকালে আমার বড় ভাই রাজনের ঘরের ভেতর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগের দিন তারা অসুস্থ আত্মীয়কে দেখতে গিয়েছিল, তাই ঘরে তালা দেওয়া ছিল। মুহূর্তেই আগুন পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এতে আমার ৮ আনা স্বর্ণ, নগদ ২ লাখ টাকা, ভাইয়ের ৪ ভরি স্বর্ণ ও ১ লাখ টাকা পুড়ে যায়। গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্রসহ আমাদের প্রায় ১৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমরা ধারণা করছি, কেউ শত্রুতাবশত আগুন লাগিয়েছে।”
বারইয়ারহাট ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন তিতাশ জানান, “রবিবার রাতে করেরহাটে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মাটির নিচে বসানো মোটরের অতিরিক্ত গরম হয়ে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।”
মিরসরাই ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার আহমদ হোসেন বলেন, “দুর্গাপুর ইউনিয়নে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ তদন্ত শেষে জানা যাবে।”