সাদমান সময় »
একটা সময় মানুষ হাতঘড়ি ব্যবহার করতো হার হামেশাই। ঘড়ির সামান্য কোনো ত্রুটি দেখা দিলে সারাতে ঘড়ি মেরামতকারীর কাছে যেতে দেরি করতো না। তবে বর্তমানে শখের বশে ঘড়ি কেনা হলেও মানুষের হাতে দেখা যায় কদাচিৎ। আর ঘড়ির ত্রুটি দেখা দিলে ত হলোই, ফেলনা হয়ে যায়। মূলত স্মার্ট ফোনের সহজলভ্যতায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি। আর সেই বাস্তবতার নিরিখে এখন ঘড়ি মেরামতকারীদের কাজে আর তেমন ব্যস্ততা থাকে না।
তাদের সময় কাটে ঘড়ি সারাতে আসা কাস্টমারদের অপেক্ষায়। এমন অপেক্ষার মাঝে দিনে হয়তো কেউ আসে। আবার ভরদিনে একজনও আসে না। চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ঘড়ি মেরামতকারীদের দিনলিপিতে এমন চিত্র দেখা গেছে।
মিরসরাই উপজেলা পৌর সদরে এখন হাতেগোনা দু-তিনেক ঘড়ি মেকার আছেন। এমনটাই চিত্র পুরো মিরসরাই উপজেলার প্রত্যেকটি বাজারে। মিরসরাই পৌরসভার ওভারব্রিজের পশ্চিম পাশের গলির ভেতর ঘড়ি মেকার প্রায় ৪৮ বছর বয়সি সাগর শর্মা। তিনি টানা ৩৫ বছর ধরে এ পেশায় আছেন। যখন ৮ম শ্রেণীর ছাত্র তখন থেকেই এই পেশায় যুক্ত। জানান তার সোনালী অতীতের কথা। আর বর্তমানের তিক্ততা।
তিনি জানান, নিয়মিত বসেন গলির ভেতর দোকানে। দীর্ঘ এত বছরের পেশা ছেড়ে অন্য কি কাজ ই বা করবেন। এ পেশার আয়ে সংসার চলে। আগে কাজের চাপে কেউ একটি ঘড়ি সারাতে দিলে তিন থেকে পাঁচ দিন সময় নেওয়া হতো। আর এখন অপেক্ষায় থাকেন কেউ হয়তো ঘড়ি সারাতে আসবে। এখন আসে তবে কেউ ঘড়ি সারাতে নয় হয়তো ঘড়ির পুরোনো ব্যাটারি কিংবা ফিতা বদলাতে।
একই চিত্র স্থানীয় জোরারগঞ্জ বাজারের পোস্ট অফিস সংলগ্ন ঘড়ি মেকার শ্যামল দাস। তিনি এ পেশায় আছেন দীর্ঘ ৪০ বছর। তিনি জানান এখনকার প্রায় সব ঘড়িই ডিজিটাল। তবে এই বয়সে এসে আর পেশা পরিবর্তনের কথা আর ভাবি না।
বাংলাধারা/এফএস/এআর













