মিরসরাইয়ের এক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পুত্রের অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার ভিডিও ক্লিপ ফাঁস হয়েছে। এক নারীর সাথে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ভিডিও ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পুরো উপজেলা জুড়ে সমালোচনা ও বির্তকের ঝড় উঠেছে। আলোচনা-সমালোচনা চলছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও। তবে ভিডিওতে দেখতে পাওয়া নারীর পরিচয় পাওয়া যায়নি।
ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর থেকে মিরসরাইয়ের বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ সাধারণ মানুষ তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে।
মঙ্গলবার (২৮ জুন) সন্ধ্যার পর থেকে এই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ১ মিনিটের সেই ভিডিওতে দেখা যায়, মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ থানাধীন ২ নং হিঙ্গুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোনা মিয়ার ছেলে সিরাজ উদ দৌলা এক নারীসহ আপত্তিকর অবস্থায় থাকে। ফাঁস হওয়া ভিডিওতে তাদের দুজনকে খোলামেলা এবং আপত্তিকর অবস্থায় দেখা যায়। পাশে থেকে কে বা কারা ভিডিওটি ধারণ করছিল। সিরাজ ও সিরাজের সাথে থাকা মেয়েটি ভিডিওর করার বিষয়টি খেয়াল করে বারবার মুখ লুকানোর চেষ্টা করে। একপর্যায়ে চেয়ারম্যান পুত্র ভিডিও করা ব্যক্তির পা ধরে মাপ চাওয়ার চেষ্টা করে।
বিষয়টি নিয়ে কথা হলে চেয়ারম্যান সোনা মিয়া বাংলাধারাকে বলেন, ‘ঘটনাটির কথা আমি শুনেছি। আমার ছেলে হোক আর যেই হোক অন্যায় করলে সাজা পাবে। তবে আমার ছেলে কোনো অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত না। বিষয়টি ষড়যন্ত্র হতে পারে। আমার ছেলেকে কে বা কারা অজ্ঞাতস্থানে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে ভিডিওটি করেছে। এ ব্যাপারে চট্টগ্রামের আদালতে মামলা করা হয়েছে।’
তবে ভিডিও সম্পর্কে জানতে চেয়ারম্যান পুত্র সিরাজ উদ দৌলার সঙ্গে মোবাইলে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে।
মিরসরাইয়ের স্থানীয় আরেক জনপ্রতিনিধির সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা হলে তিনি জানান, চেয়ারম্যান পুত্রের এই কর্মকাণ্ডে বিব্রত স্থানীয় লোকজন। বিব্রত আমরাও। আমার মতো বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে উপজেলার অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরাও। বিভিন্ন মহলে নিন্দার ঝড় বইছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হিঙ্গুলি ইউনিয়নের এক ইউপি সদস্য জানান, এমন নৈতিক স্খলন কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এর দায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকেই নিতে হবে।
এদিকে ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর মিরসরাইয়ের বিভিন্ন বাজার, চায়ের দোকান ও উপজেলা পরিষদ চত্বরসহ সর্বত্র অশ্লীল ভিডিও নিয়ে আলোচনা সমালোচনা চলছে।
স্থানীয় ফোরকান নামে এক ব্যাক্তি জানান, চেয়ারম্যান পুত্রের কাছ থেকে জনগণ এটা প্রত্যাশা করে না। আপত্তিকর ভিডিওটি দেখার পর থেকে আমি চরম ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত।
এ বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর হোসেন মামুন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিস্তারিত আসছে…













