মিরসরাই প্রতিনিধি »
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে গত ৪৮ দিনের ব্যবধানে ৪ দফায় ৬২ জন মায়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের আটক করেছে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ। সোমবার (৩১ মে) প্রথমবার মিরসরাই উপকূলে ভাসানচর থেকে পলাতক ১০ রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়। সর্বশেষ শনিবার (১৭ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টায় ইছাখালী ইউনিয়নের মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলের বেপজা কোম্পানির আওতাধীন আনসার ক্যাম্পের সামনে থেকে ২০ জন রোহিঙ্গাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় নোয়াখালীর ভাসানচর রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্প থেকে পালিয়ে আসছে তারা।
আটককৃত রোহিঙ্গা নাগরিকরা হলো, মো. আবদুর রহমান (২৭), সেতারা বেগম (২০), মো. সাব্বির (২৬), সঞ্চিতা বেগম (২২), রাজিয়া বেগম (২৩), নুরুল করিমা (২০), ছালমা খাতুন (৫০), জামাল হোসেন (২৪), নুর কায়দা (২৫), রুমানা (৬), নুর ফাতেমা (৩), মো. আয়াজ (৮ মাস), জান্নাত আরা (৪), কিছমত আরা বেগম (২), মরিয়ম (৮ মাস), মো. আবুল কাশেম (৭), ওসমান গনি (৮ মাস), মো. আয়াত (৪), জান্নাত আরা (১) ও সেতেরা (৫)।
জানা গেছে, গত ৪৮ দিনের ব্যবধানে নোয়াখালীর ভাসানচরের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির থেকে দালাল চক্রের মাধ্যমে ট্রলার যোগে সাগর পাড়ি দেয় রোহিঙ্গারা। পরবর্তীতে মিরসরাই থেকে তাদের উদ্দেশ্য কক্সবাজার জেলার উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবির। ৩১ মে ৩ দালাল সহ ১০ জন, ২২ জুন ১৪ জন, এবং ১১ জুলাই মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল থেকে ১৮ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছিল পুলিশ। মূলত সাগরপথে ভাসানচর মিরসরাই কাছে হওয়ায় দালালরা এই রুট ব্যবহার করছে।
এ বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুর হোসেন মামুন বলেন, আটক ২০ রোহিঙ্গার মধ্যে ৪জন পুরুষ, ৫জন মহিলা ও ১১ জন শিশু রয়েছে। এর মধ্যে মেয়ে শিশু সাতজন ও ছেলে শিশু চারজন।
তিনি বলেন, গ্রেফতার মায়ানমারের নাগরিক (রোহিঙ্গারা) নোয়াখালীর ভাসানচর থেকে ট্রলার যোগে মিরসরাইয়ের অর্থনৈতিক জোন এলাকায় নামেন। সেখান থেকে তারা টেকনাফের কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে যাওয়ার কথা ছিল। পরে ইকোনোমিক জোন এলাকার দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। কার মাধ্যমে ভাসানচর থেকে এসেছেন তা জানার চেষ্টা চলছে।
বাংলাধারা/এফএস/এআর













