মিরসরাই প্রতিনিধি »
বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন করলো মিরসরাই উপজেলা কমিটি। এবার দলটি স্থানীয়ভাবে তাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন অনুষ্ঠানে তৃণমূলের ১৮ জন প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতাকে সংবর্ধনা দেয়।
গতকাল বুধবার (২৩ জুন) সকালে মিরসরাই উপজেলা অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত বার্ষিকী উদ্পন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তরজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য স্থানীয় সাংসদ পুত্র মাহবুবুর রহমান রুহেল। ওইদিন সকাল ১২টার নাগাদ উপজেলা সদরে অবস্থিত দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি শোভাযাত্রা বের হয়ে এটি শেষ হয় উপজেলা চত্ত্বরে গিয়ে। এরপর উপজেলা অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সংবর্ধনা, আলোচনা সভা, চেক বিতরণ ও কেক কাটার মধ্য দিয়ে দুপুর ২টায় নাগাদ অনুষ্ঠানের শেষ হয়। অনুষ্ঠানের শুরুর দিকে ঢাকাস্থ বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন মিরসরাইয়ের সংসদ সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।
এ সময় তিনি বলেন, ‘আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর সাথে রাজনীতি করেছি তারা জানি কত ত্যাগ তীতিক্ষার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পথচলা। অনেক শক্ত হাতে বঙ্গবন্ধু দলটির হাল ধরেছিলেন। বর্তমান সময়ে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সে সোনার বাংলা গড়ার কাজে মনোনিবেশ করেছেন। তাঁর এ লড়াইয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম জাহাঙ্গীর ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় ও সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাংসদ পুত্র মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমার ছোট বেলায় আমাদের চট্টগ্রাম নগরীর নন্দন কাননের বাড়িতে দেখেছি রাতদিন শ্রম দিয়ে আমার বাবা (ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন) কিভাবে আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করেছেন। আজকে আপনাদেরকেও সেভাবে ত্যাগ স্বীকার করে দলের জন্য কাজ করতে হবে।’ এসময় তিনি আরো বলেন, ‘শুধুমাত্র মুজিবকোট আর স্যোসাল মিডিয়ার মধ্যে ডুবে থেকে রাজনীতি করলে হবে না। সবাইকে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ধারণ করে রাজনীতি করতে হবে।’
মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী জানান, কিছুটা ব্যতীক্রম আয়োজনের মধ্য দিয়ে এবার আমরা আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন করেছি। এবার আমরা ১৮ জন প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতাকে সংবর্ধনা দিয়েছি। তারা হলেন, মির্জা ফিরোজ আহম্মেদ, আলী নেওয়াজ মিস্ত্রি, মোহাম্মদ ইলিয়াছ সওদাগর, শাহাবুদ্দীন, মো. শাহজাহান ভূঁইয়া, ফকির আহম্মদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আহম্মেদ, মোজাম্মেল হক মিয়ন, বীর মুক্তিযোদ্ধা দিদারুল আলম বাহার, মো. সিরাজদৌলা, আলহাজ মাহমুদুল হক, আমিনুজ্জামান, মাস্টার সুবিমল বড়–য়া, মো. জয়নাল আবেদীন, হোসেন গালিয়া, জামাল উদ্দিন, কামাল উদ্দিন ও মান্নান আহম্মেদ।
বাংলাধারা/এফএস/এআর













