সাদমান সময় »
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের পৌর সদরে একটি ফুটওভার ব্রিজ খুবই ঝুঁকিপুর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ফলে যে কোন সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাই সদরে পোস্ট অফিস সংলগ্ন ২০১৫ সালে লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় লোহার ফুটওভার ব্রিজটি।
স্থানীয় তথ্য অনুযায়ী, মিরসরাই উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে যতগুলো ফুটওভার ব্রিজ আছে সবচাইতে বেশি ব্যবহার হয় মিরসরাই পৌর সদরে অবস্থিত ব্রিজটি। সবচাইতে বেশি ব্যবহৃত এই ব্রিজটির বর্তমানে সিঁড়ি গুলো মরিচায় ক্ষয়ে পাতলা হয়ে গেছে, আর এই বর্ষাতে সামান্য বৃষ্টিতে সিঁড়িগুলো হয়ে যায় স্যাঁতস্যাঁতে, বিশেষ করে শিশু, নারী এবং বৃদ্ধরা পড়েন চরম বিপাকে।
দুর্ঘটনা এড়াতে ফুটওভারব্রিজটি নিয়মিত ব্যবহার করেন পৌরসভার বাসিন্দা সুলতানা জেসমিন বিলকিছ। তিনি বলেন, কষ্ট করে হলেও একটু সময় দিয়ে ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে রাস্তা পার হই। কিন্ত দুঃখজনক বিষয় হলো ফুটওভার ব্রিজ দিয়েই রাস্তা পার হতে এখন ভয় আরো বেশি লাগে।
সরেজমিন দেখা যায়, গত সোমবার বিকালে একজন বৃদ্ধা নারী ওভারব্রিজ ব্যবহার করে রাস্তা পার হওয়ার সময় পা পিছলে পড়ে যান। এ ঘটনায় ওই বৃদ্ধার পা ভেঙ্গে যায়, সাথে থাকা পথচারী সজিব তাকে ডাক্তারের নিকট নিয়ে যান। অন্য একটা ঘটনায় একজন শিশু তার মায়ের সাথে ওভারব্রিজ ব্যবহার করে রাস্তা পার হওয়ার সময় সিড়িতে পিছলে পড়ে পা মচকে যায়। এরকম দুর্ঘটনা হরহামেশাই পোহাতে হচ্ছে সাধারণ পথচারীদের।
ফুটওভার ব্রিজটি নিয়মিত ব্যবহারকারী খইয়াছরা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রবাল ভৌমিক জানায়, ব্রিজটি ঝুকিপুর্ণ। বৃষ্টিতে সিঁড়িগুলো স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে যায়। এতে দুর্ঘটনার আশংকা থেকে যায়। বিশেষ করে শিশু এবং বৃদ্ধদের জন্য এটি বিপদজনক।
জানা যায়, ২০১৯ সালে একটি কন্টেইনারের ধাক্কায় ফুটওভার ব্রিজটি মহাসড়কের পশ্চিমপাশে বেঁকে যায়। তবে এ ঘটনায় ব্রিজটির কোনো সংস্কার কাজ হয়নি।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগের চট্টগ্রাম বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বাংলাধারাকে বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা ছিল না। কেউ অভিযোগ করেনি, বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখবো।
বাংলাধারা/এফএস/এআর
