৯ নভেম্বর ২০২৫

মুক্তিপণ দিয়েই ফিরলেন টেকনাফ থেকে অপহৃত ৮ জন

কক্সবাজার প্রতিনিধি »

টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা পাহাড়ি এলাকা থেকে শিক্ষার্থীসহ ৮ অপহৃত ৪দিনের মাথায় অবশেষে ছাড়া পেয়েছেন। জনপ্রতি নির্দিষ্ট পরিমাণ মুক্তিপণ পরিশোধের পর বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) ভোর রাত ২টার দিকে তারা ছাড়া পান বলে জানিয়েছেন বাহারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন। তবে- কতটাকা তারা দিয়েছে এ বিষয়ে মুখ খুলছে না ভিকটিম ও তাদের পরিবার। ফিরে আসা ভিকটিমদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভোররাতেই থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

অপহৃতদের একজন সেলিমের বড় ভাই আকতার হোসেন জানায়, শুরু থেকেই জনপ্রতি তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছিল অপহরণকারিরা। এর ভেতর পুলিশ ও শৃংখলা বাহিনী জনগণকে নিয়ে পাহাড়ে পাহাড়ে তল্লাশি এবং সাংবাদিকরা এ নিয়ে নিউজ করায় পুলিশ-সাংবাদিকদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে অপহৃতদের উপর শারিরীক নির্যাতন চালায় সন্ত্রাসীরা। এর মাঝেও তাদের সাথে দেনদরবার চলছিল। তাদের চাহিদা মতো টাকা দেয়ার কথা নিশ্চিত করার পর বৃহস্পতিবার ভোররাত ২টার দিকে অপহৃতদের নিয়ে জাহাজপুরা গর্জন বাগানের কাছাকাছি আসে অস্ত্রধারী অপহরণকারিরা।সেখানেই ভিকটিমদের পরিবার টাকা হস্তান্তর করার পর অপহৃতদের ছেড়ে দেয়া হয়। তবে, কত টাকা দিয়েছে সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছুই বলেননি তিনি।

টাকা পরিশোধের বিষয়টি অবগত নয় জানিয়ে অপহৃত ৮জনকেই ছেড়ে দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে টেকনাফ থানার ওসি আবদুল হালিম বলেন, অপহৃতরা এলাকায় এসেছে জানার পর পরই তাদের থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। অপহরণের শিকার ভিকটিমরা জানিয়েছেন, তাদেরকে পাহাড়িছড়ার ভিতর বেঁধে রাখা হয়েছিল। বিভিন্ন সময় তাদের খুব বেশি শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরে সবিস্তারে জানানো হবে।

এদিকে, অপহরণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। অপহৃতদের একজম কলিমুল্লাহর ভাই হাবিবউল্লাহ বাদি হয়ে অপহরণ ও চাঁদাবাজির ধারায় অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে মামলাটি করা হয়েছে (নং-৪৪/২০২২)। সেই মতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ওসি।

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ