বাংলাধারা ডেস্ক»
ইসলামি বক্তা মুফতি কাজী ইব্রাহীমের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রতারণার মামলাটি দায়ের করেছেন এক ভুক্তভোগী। অন্যদিকে মোহাম্মদপুর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের মামলার বাদী পুলিশ। এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) মুফতি কাজী ইব্রাহিমকে আদালতে তোলা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ডিএমপি’র গোয়েন্দা-সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম আরটিভি নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ভোরে লালমাটিয়ার জাকির হোসেন রোডের বাসা থেকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তাকে আটক করেছিলো। পরে তাকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
থানা সূত্রে জানা গেছে, ইউটিউব, ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে নানা বক্তব্য দিয়ে আলোচিত-সমালোচিত মুফতি কাজী ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় একটি প্রতারণার মামলা হয়েছে। জেড এম রানা নামে একজন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় ৪২০, ৪০৬ ও ৩৮৫ ধারায় যুক্ত করা হয়েছে।
দেখুন» জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে মুফতি ইব্রাহীমকে
এর আগে ডিবি-উত্তরের যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘মুফতি কাজী ইব্রাহিম করোনা নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার করেছেন। সম্প্রতি করোনার টিকা নিয়ে তার বিভিন্ন বক্তব্য ভাইরাল হয়। তিনি ফেসবুক ও ইউটিউবসহ তার ওয়াজে উল্টাপাল্টা কথা বলে আসছেন।’
হারুন বলেন, ‘গতকাল রাতেও ফেসবুক লাইভে তিনি বাংলাদেশের মানুষকে হিন্দুস্তানের দালাল ও র-এর এজেন্ট’ বলে প্রচার করেছেন। তিনি বিভিন্ন সময় করোনা নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার ও ধর্মীয় উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচার করেছেন, যা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা, বিতর্ক হচ্ছে। সেসব বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তিনি জিজ্ঞাসাবাদে সন্তোষজনক বক্তব্য দিতে না পারলে তার বিরুদ্ধে মামলাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনে করোনা সংক্রমণ দেখা দেওয়ার পর মুফতি ইব্রাহীমের করোনা নিয়ে বক্তব্য সমালোচনার জন্ম দেয়। এছাড়া নতুন মহাদেশ, করোনার ভ্যাকসিন ও রক্তের গ্রুপ নিয়ে এই ইসলামিক বক্তার দেওয়া তত্ত্ব ও তথ্য নিয়েও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলে আলোচনা, সমালোচনা।
বাংলাধারা/এফএস/এফএস













