শাহ আব্দুল্লাহ আল রাহাত »
আষাঢ়ের অজর বৃষ্টিতে ভালোবাসা সৃষ্টি হতেই পারে। কিন্ত করোনার প্রকোপে কজনই বা ভিজতে পারেন এই বর্ষণে। মহামারীর এই অনন্ত যাত্রায় চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘন্টায় সামিল হয়েছেন আরো ৪ জন। এছাড়া অন্যান্য উপজেলা গুলোতে মারা গিয়েছেন আরো ৬ জন।
চলমান লকডাউনের প্রভাব শুধু মাত্র পড়েছে গণপরিবহনে। অন্যদিকে গত ২৪ ঘন্টার বৃষ্টিতে নগরীর সুপারিপাড়া, হালিশহর, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, চকাবাজার, ২নং গেইটসহ অন্যান্য নিম্নাঞ্চলগুলো হয়েছে প্লাবিত।
নাগরিক জীবনে ভোগান্তির যেন কোনো কমতি নেই। নূন আনতে পানতা ফুরানো পরিবারগুলোর শ্রমজীবী মানুষরা বৃষ্টি উপেক্ষা করে নেমেছে রাস্তায়।কেননা কারখানা, গামেন্টসগুলো খোলা থাকলেও রাস্তায় নেই গণপরিবহন। নগরীর টাইগারপাস এলাকায় সকালে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে শ্রমিক এবং গামেন্টেস কর্মীরা।
এছাড়া বন্দরনগরীর ষোলশহর ২নং গেইট এলাকায় নালায় পড়ে মারা যান ২ জন। ভারী বর্ষণের ফলে সৃষ্টি হওয়া স্রোতে নালায় তলিয়ে যায় সিএনজি অটোরিক্সাটি। এতেই প্রাণ যায় তাদের।
একদিকে করোনায় প্রাণহানি, নালায় পড়ে মৃত্যু, নাগরকি জীবনে জলাবদ্ধতা, লকডাউন, খেটে খাওয়া মানুষের বিক্ষোভ অন্যদিকে শাট ডাউনের প্রজ্ঞাপন খবর পেয়ে দূরপাল্লার মানুষগুলো বৃষ্টিতে ভিজে ছাড়ছে নগরী।
তবে দুঃখ বিলাসের নগরীতে একই ছাতার নিচে বৃষ্টির সুখ ভাগাভাগি করতে দেখা গেছে এক প্রেমিক যুগলকে। টাইগার পাসের পাহাড় বেষ্টিত ঘেরা সতেজ সবুজের সমারোহের নিচে দেখা যায় এমন এক দৃশ্য। হয়তো শাট ডাউনের ক্রান্তিলগ্নে নাও মিলতে পারে দেখা। তাই হয়তো এমন দৃশ্যপটের সৃষ্টি।
বাংলাধারা/এফএস/এআই













