বাংলাধারা প্রতিবেদন »
মৃত্যুর ৭ বছর পর কবর থেকে উঠে এসে চাদা দাবী করায় ২ মৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে চাদাঁবাজী মামলার ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনা নগরীর চকবাজারের। এছাড়া মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে শারীরিকভাবে অক্ষম ৮২ বছরের এক বৃদ্ধাকে।
চট্টগ্রামের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক চিকিৎসক এবং প্রাইভেট পিপলস হসপিটাল এর পরিচালক ডাক্তার শ্রীকৃষ্ণ বণিক চাঁদাবাজি মামলাটি দায়ের করেন।
৮২বছরের বৃদ্ধ নুরনাহার বেগম কে প্রধান আসামি করে মৃত আহমদ ইফতেখার রসূল এবং মৃত হাসিনা বেগমসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলাটি করা হয়েছে। আদালত মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
এমন মামলার ব্যাপারে চট্টগ্রামের সিনিয়র আইনজীবী জাহাংগীর আলম বলেন, যে কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে যে কেউ মামলা করতে পারেন। তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করে সত্য ঘটনা বের করে নিয়ে আসবে এটাই স্বাভাবিক। অস্বাভাবিক হলো মৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা।
মামলার বাদী ডাক্তার শ্রীকৃষ্ণ মামলায় উল্লেখ করেছেন, আসামীগণ অত্যান্ত দুর্দান্ত, দুষ্ট প্রকৃতির হয়। ৮ থেকে ১১ নং আসামির প্রত্যক্ষ প্ররোচনায় ও নির্দেশে ১ থেকে ৭ এবং ১২ থেকে ১৫ নং আসামি জোরপূর্বক বাদীসহ সাক্ষীদের মালিকাধীন ফ্ল্যাটে নেমপ্লেট লাগিয়ে দেয় এবং ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে।
বাদীর কাছে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি এবং প্রবেশে বাধা দেওয়া প্রসংগে জানতে চাইলে ৮২ বছর বয়স্ক নুরনাহার বেগম বলেন, বাবা দেখতেই পারছেন আমি তো ঘর থেকে বের হতে পারি না, হাঁটাচলা করতে পারি না, বিছানায় শুয়ে আছি।
৯ নং আসামী মৃত ব্যক্তি আমহ্দ ইফতেখার রসূল এবং ১০ নং আসামী মৃত হাসিনা বেগম কিভাবে কবর থেকে উঠে কাজে বাধা দিলেন এবং চাঁদা দাবি করলেন এ বিষয়ে ডাক্তার শ্রীকৃষ্ণ বণিকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে প্রতিবেদকের কথায় তিনি কোন সাড়া দেননি।
মৃত ব্যক্তিকে আসামী করা প্রসংগে তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই এর তদন্ত কর্মকর্তা আনোয়ার শামীম বলেন, তথ্য যাচাই বাছাইয়ের জন্য মামলাটি পাঁচলাইশ থানায় পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন পাঠানো হবে।
পাঁচলাইশ থানার তদন্ত কর্মকর্তা এএসআই ইমরুল বলেন, মামলার কপিটি আমার কাছে এসেছে আমি যাচাই বাছাই করছি। আসামীদের মৃত্যু সনদ পেলেই তা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দেওয়া হবে।
বাংলাধারা/এফএস/এইচএফ













