২৯ অক্টোবর ২০২৫

মোবাইল সার্ভিসিং দোকানের ‘লুকুচুরি খেলা’

ইয়াসির রাফা »

চট্টগ্রাম নগরের তামাকুমুণ্ডি লেন, রিয়াজউদ্দিন বাজার, টেরিবাজার ও পৌর জহুর হকার্স মার্কেট ঈদের আগে না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। গত ৯ মে (শনিবার) চট্টগ্রাম নগর পুলিশের মতবিনিময় সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপরও যদি দোকানপাট খোলা রাখা হয়, সে জন্য ছয়টি নির্দেশনা দিয়েছে চট্টগ্রাম নগর পুলিশ ৷

এর আগে নগরের ১১টি অভিজাত বিপণিকেন্দ্র চালু না করার ঘোষণা দেওয়া হয়। অর্থাৎ এবারের ঈদ উপলক্ষে চট্টগ্রামের প্রায় সব ছোট-বড় বিপণিকেন্দ্র বন্ধ থাকছে। কিন্তু সিদ্ধান্তের এক সপ্তাহের মাথায় আজ শনিবার (১৬ মে) দুপুর দেড়টার দিকে এক ভিন্নচিত্র দেখা যায় নগরীর তামাকুমুণ্ডি লেন মোবাইল বাজারে।

হোম কোয়ারেণ্টাইন শুরু হওয়ার পর থেকেই মোবাইল ফোন ব্যবহারের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাসায় অবস্থানরত মানুষের একটি বড় সময় কাটছে মোবাইল ফোনে নানা রকম সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে। যার ফলে মোবাইল ফোন সার্ভিসিংসহ নতুন ফোনের চাহিদাও বেড়েছে ব্যাপক হারে। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মার্কেট বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেও কিছু মোবাইল ফোনের দোকানিকে মার্কেট ভবনের কলাপ্সিবল গেটের এপার-ওপার থেকে লুকিয়ে মোবাইল সার্ভিসিং-এর কাজ অব্যাহত রাখতে দেখা যায়।

এছাড়া মোবাইল ব্যাটারি, হেডফোন, চার্জার, মোবাইলের কাভারসহ ইত্যাদি গেট বন্ধ অবস্থায় কলাপ্সিবল গেটের এপার-ওপার থেকে বিক্রয় করতে দেখা যায় কোন প্রকার সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থবিধি না মেনেই। একই সাথে চট্টগ্রাম নগর পুলিশ দেয়া ছয়টি নির্দেশনাও মানতে দেখা যায়নি তাদের।

মোবাইল ফোনের চার্জার কিনতে আসা ওমর ফারুক নামের একজন বলেন, আসলে এদিক দিয়ে যাওয়ার সময় গেটের ভেতর দোকানি কাজ করছেন দেখেই চার্জারটা কিনলাম। মোবাইল বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে কিছুদিন যাবত। বাসায় চার্জার কম থাকায় আরেকটা কিনে নিয়েছি।

দোকানির সাথে এ ব্যাপারে কথা বলতে চাইলে তিনি কথা বলতে অসম্মতি জানিয়ে কলাপ্সিবল গেট থেকে সড়ে মার্কেটের ভেতরের দিকে চলে যান।

বাংলাধারা/এফএস/টিএম/এএ

আরও পড়ুন