২৩ অক্টোবর ২০২৫

যতদিন বেঁচে আছি শোক দিবসে মেজবানি অব্যাহত থাকবে : প্যানল মেয়র লিটন

বাংলাধারা প্রতিবেদক »

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ১৫ হাজার মানুষের মেজবানি খাবারের আয়োজন করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটন।

সোমবার (১৫ আগস্ট) চট্টগ্রাম নগরীর ২৫নং রামপুর ওয়ার্ডের দুলহান কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত মেজবানির শিক্ষা উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এর আগে প্যানেল মেয়র লিটনের উদ্যোগে সোমবার সকালে রামপুর কাউন্সিলর কার্যালয়ের সামনে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করা হয়। এরপর রামপুর এলাকার মসজিদে মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

মেজবানির অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, চসিকের বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরগণ, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় শোক দিবসে চট্টগ্রামে আয়োজিত এই বৃহৎ আয়োজন উপলক্ষে প্যানেল মেয়র আব্দুস সবুর লিটন বলেন, ‘১৫ আগস্ট শোক দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি সাধ্যমতো সাধারণ মানুষের জন্য আপ্যায়নের আয়োজন করতে পেরে সত্যি আমি আনন্দিত। জাতীয় শোক দিবসে টুঙ্গিপাড়ায় ঐতিহ্যবাহী মেজবানের আয়োজন করতেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি ও জননন্দিত সাবেক মেয়র চট্টলবীর আলহাজ্ব এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী। মহান আল্লাহ আমাকে যতোদিন বাঁচিয়ে রাখবেন ততদিন শোক দিবসে এই মেজবানি আয়োজন অব্যাহত থাকবে।’

উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোর রাতে সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপদগামী সদস্য ধানমন্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব , বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধু সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল। পৃথিবীর এই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত এবং তার ছেলে আরিফ ও সুকান্তবাবু, মেয়ে বেবি, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর দু’কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।

আরও পড়ুন