৭ নভেম্বর ২০২৫

যে কোনো মূল্যে আমি আগামী নির্বাচন করব: সাবেক সাংসদ গিয়াস উদ্দীন কাদের চৌধুরী

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান (পদ স্থগিত) ও রাউজান–রাঙ্গুনিয়া আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দীন কাদের চৌধুরী বলেছেন, “যে কোনো মূল্যে আমি আগামী নির্বাচন করব। যতদিন পর্যন্ত এই দেশের মানুষের রক্তের সঙ্গে আমার রক্ত মিশে আছে, ততদিন আমাকে ভোট করা থেকে কেউ বাদ দিতে পারবে না।”

তিনি বলেন, “আমার রক্ত, আমার পরিবারের রক্ত যতদিন রাউজানবাসীর সঙ্গে মিশে আছে, ততক্ষণ আপনাদের কেউ বঞ্চিত করতে পারবে না। আমরা আছি, আমরা থাকব যে কোনো মূল্যে আমি আগামী নির্বাচনে অংশ নেব।”

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যার আগে ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে রাউজান উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর যৌথ উদ্যোগে এক বিশাল জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয় রাউজান সরকারি কলেজ মাঠে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন রাউজান উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হুদা চেয়ারম্যান,
এবং সঞ্চালনা করেন ফিরোজ আহম্মদ, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক।

“রাউজানকে কলঙ্কিত করতে বিশেষ মহল সক্রিয়”

গিয়াস উদ্দীন কাদের চৌধুরী আরও বলেন, “রাউজানকে বাংলাদেশের একটি কলঙ্কিত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করার জন্য একটি বিশেষ মহল উঠে পড়ে লেগেছে। তারা বলে, রাউজানে এখন নাকি ভাড়াটিয়া কিলার পাওয়া যায়! যারা মানুষ মারে, তাদের স্থান আর রাউজানে হবে না।”

তিনি বলেন, “রাউজানে চাঁদাবাজি, দখলবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড যে কোনো কিছুর বিনিময়ে বন্ধ করতে হবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াব।”

শহীদ জিয়া ছিলেন জাতির পুনর্গঠনের প্রতীক

বিএনপির এই নেতা বলেন, “শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সিপাহী জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে দেশের যে পটপরিবর্তন ঘটিয়েছিলেন, তা জাতীয় ইতিহাসের এক গৌরবময় অধ্যায়। তিনি রূপরেখার মাধ্যমে দেশ ও জাতিকে পুনর্গঠন করেছেন এটি অস্বীকার করার সুযোগ নেই।”

রাউজানের প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড থেকে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতা-কর্মী স্লোগান, ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন:

আবু জাফর চৌধুরী, সাবেক সদস্য, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি ছৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, পৌর বিএনপি হাবিবুল্লাহ মাস্টার, সাবেক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক, জেলা বিএনপি

মোসলেম উদ্দিন, সাবের সুলতান কাজল, ফয়জুল ইসলাম টিপু, এইচ. এম. ইকবাল হাসান, দিদারুল আলম চেয়ারম্যানসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের অসংখ্য নেতৃবৃন্দ।

উপস্থিত ছিলেন আরও

কাজী আনিসুজ্জামান সোহেল, মোজাম্মেল হক, ইউসুপ তালুকদার, মো. মাসুদ, একরাম মিয়া, শাহাজান শাকিল, ইকবাল চৌধুরী, ফরিদ, নুরুল আলম, শামসুল হক বাবু, এস. এম. ইউছুপ, কাজী সরোয়ার খান মনজু, এডভোকেট তাজুল ইসলাম, এডভোকেট মফিজ উদ্দিন ইমন, নিজাম উদ্দীন, হারুন উর রশিদ, এনাম উল্লাহ, মোহাম্মদ গিয়াস, আবুল কাশেম রানা, মোহাম্মদ মুমিন, মো. আজম, জানে আলম, নজরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর মিয়াজি, আবু হোসেন, সেলিম উদ্দিন, কামাল উদ্দিন, সাহাবউদ্দিন, তসলিম উদ্দিন ইমন, ছোটেন আজম, জাহেদ, মো. আলী সুমন, আবদুল কাদের, মোহাম্মদ তৈয়ব, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, সোহেল চৌধুরী প্রমুখ।

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ