বাংলাধারা প্রতিবেদন »
পাশবিক নির্যাতনের পর অন্ধকার ঘরে বন্দি থাকতে থাকতে পচন ধরেছে শরীরের নানা অংশের। বের হচ্ছে দুর্গন্ধ। আধুনিক যুগেও মানুষের সাথে মানুষের এমন নির্যাতনের চিত্র দেখে বিস্মিত ও হতবাক সবাই।
চার বছর আগে পোশাক কারখানায় কাজ করার সুবাধে পরিচয় হয় নির্যাতিত নারী আয়েশার (২১) সাথে মুজিবের। পরে এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিয়ে হয় তাদের।
যৌতুকের দাবিতে স্বামী মুজিব চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী থানায় এলাকার একটি ভবনের কক্ষে আটকে রাখে আয়শাকে। চলে লোহা ও আয়রনের চ্যাকা দিয়ে পাশবিক ও অমানবিক নির্যাতন।
আয়েশা বলেন, আমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছে, অনেক মেরেছে। লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করেছে, রক্তও প্রচুর ঝরেছে। একটু পানি ভিক্ষা করেছিলাম, তাও দেয়নি।
আয়েশার বাবা বলেন, আমার মেয়ে নির্যাতিত হয়ে আমাকে ফোন করেছিল। ফোন করে বলে আব্বা আমাকে এক লাখ টাকা দিয়ে আমার প্রাণটা ভিক্ষা দেন। টাকা না দিলে সে আমাকে মেরে ফেলবে।
এখানেই শেষ নয় বর্বরতা, গোপনাঙ্গেও মরিচ দিয়ে চালায় নির্যাতন।
শনিবার (২৯ মে) রাতে খুলশীর ১ নম্বর গলির একটি ভবন থেকে ভিকটিম আয়েশা আক্তারকে (২১) উদ্ধার করা হয়েছে। পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওইদিন রাতেই অভিযান চালিয়ে খুলশীর ১ নম্বর রোড়ের সি ব্লকে তামান্না ভবন থেকে মুজিবর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই শীলব্রত বড়ুয়া বলেন, স্বামীর নির্যাতনের শিকার স্ত্রীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান বলেন, আয়েশা আক্তারকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে প্রায় দুই মাস বিনা চিকিৎসায় গৃহবন্দী করে রাখে স্বামী মুজিবর। যৌতুক ও পারিবারিক কলহ থেকে আয়েশাকে নির্যাতন করত সে। আয়েশার পরিবার খুবই গরিব। আয়েশার প্রথম বিয়ে হলেও মুজিবুরের দ্বিতীয় বিয়ে ছিল এটি। মুজিবর পেশায় একজন কন্ট্রাক্টর।
বাংলাধারা/এফএস/এআই













