বাংলাধারা প্রতিবেদন »
পরকিয়ার প্রতিবাদ করায় স্ত্রীকে মারধর করে ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে পুলিশ সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম তুহিন (৩৫)। মেয়ের স্কুলের বেতন চাইলেও স্ত্রীকে মারধর করে এবং পুনরায় যৌতুকের ২ লাখ টাকা দাবি করে। মাকে বাঁচাতে আসায় মেয়েকেও মারধর করে তুহিন।
সর্বশেষ গত ২১ আগস্ট নগরের খুলশী থানায় স্ত্রীকে যৌতুকের দাবিতে মারধরের ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন স্ত্রী।
মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল হালিমের আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করেন।
মো.শহিদুল ইসলাম তুহিন কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানার নবীয়াবাদ এলাকার সরকার বাড়ীর মৃত আব্দুল হান্নান মিয়ার ছেলে। তিনি চকবাজার থানা পুলিশের কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, শহিদুল ইসলাম তুহিন ও তার স্ত্রী দিলরুবা হোসেন তিথীর একটি ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। কিন্তু গত এক বছর যাবত তার স্বামী পরকিয়া করছে। প্রতিবাদ করলে তাকে বিভিন্ন সময়ে মারধর করে আসামি। এরপর গত ৬ জুন মারধর করে ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। সর্বশেষ গত ২০ আগস্ট মেয়ের স্কুলের বেতন চাইলে দিলরুবা হোসেন তিথীকে মারধর করে ও পুনরায় ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে তুহিন। এ সময় তিথিকে বাঁচাতে আসার মেয়েকেও মারধর করে। গত ২১ আগস্ট শহিদুল ইসলাম তুহিন ও শারমিন আক্তার শিপাকে আসামি করে খুলশী থানায় মামলা দায়ের করেন শহিদুল ইসলাম তুহিন। স্ত্রীর দায়ের করা মাৃলায় শহিদুল ইসলাম তুহিনকে খুলশী থানার টেকনিক্যাল মোড় থেকে সোমবার (২২ আগস্ট) রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে।
কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন পাঁচলাইশ থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) উপ পরিদর্শক (এসআই) শাহীন ভূঁইয়া। তিনি বলেন, যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে মারধরের মামলায় খুলশী থানায় পুলিশ তুহিনকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করে। আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।












