বান্দরবান প্রতিনিধি »
লামা উপজেলায় আজিজ নগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিনসহ আরও দুইজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে নারীও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল।
সোমবার দুপুরে বান্দরবান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিনসহ আরও দুইজনের বিরুদ্ধে এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
জানা গেছে, বান্দরবান লামা উপজেলায় ইয়াছমিন আক্তার নামে এক মহিলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে গত ৩০ আগস্ট মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তের শেষে সত্যতা অভিযোগ পায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল। পরে বান্দরবান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল (জেলা ও দায়রা জজ) বিচারক মোহাম্মদ সাইফুর রহমান সিদ্দিক আজিজনগর জসিম উদ্দিন চেয়ারম্যানসহ অন্য দুইজন আসামিদেরকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
তারা হলো— আজিজ নগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন (৪৮), মোস্তাক আহম্মদ (৩৫) ও সাইফুল ইসলাম (৩৫)।
অভিযোগকারীর পক্ষে নিয়োজিত সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাজী মহতুল হোসাইন যত্ন । তিনি জানান, ওই নারীর অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ হওয়ায় কারণে অভিযোগকারী আদালতে হাজির হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি ও কঠিন শাস্তি দাবি করেছেন। এবং বিজ্ঞ বিচারক নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা আদেশ দেন।
এদিকে মামলার এজাহার তথ্যনুযায়ী, জমি জায়গায় নিয়ে বিচারের জন্য ইয়াছমিন আক্তার চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন কাছে অভিযোগ করেন। কিন্তু অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার অফিসে বিকাল ৪টায় সময় উপস্থিত থাকার জন্য বললে অভিযোগ না করে বিকাল ৪টায় হতে রাত ৮টায় পর্যন্ত অফিসে অপেক্ষায় করেন। পরে চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন ওই নারীকে সমাধান করা হবে বলে নিজের গোপন কক্ষে নিয়ে যায়। কক্ষে ভিতর অশ্লীল ও যৌন হয়রানিমূলক কথাবার্তা বলতে থাকেন ওই নারীকে। কিন্তু অশ্লিল ভাষা না বলার জন্য বারণ করলে এক পর্যায়ের ওই নারীকে টেনে হিছড়ে ধর্ষণের চেষ্টার করে চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন। পরে ওই নারী চিৎকার করলে কক্ষে ছুটে আসে নারী স্বামী ও তার বড়ভাই।
মামলার এজাহারে আরো বলা হয়, চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন ধর্ষণ করতে না পেরে ওই নারী বাম হাতে লোহার রড দিয়ে আঘাত করে । এসময় মহিলাটি বাম হাত বিঘ্ন হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে আরো যোগ দেন মোস্তাক আহম্মদ ও সাইফুল ইসলাম নামে দুই ব্যাক্তি। চেয়ারম্যান সহযোগী হিসেবে মহিলা উপর গলা টিপে , চুল টেনে হেচড়ে ধরে মারাত্মক ভাবে অত্যাচার তাণ্ডব চালায় এই তিন ব্যক্তি। ঘটনাস্থল থেকে ওই নারী চলে যাওয়া পর তাদের বিরুদ্ধের মামলা করলে মেরে ফেলার ও গুম করার হুমকি দেন চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিনকে একাধিক বার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বেঞ্জ সহকারী এস এম মাঈনুল ইসলাম সিকদার বলেন, বাদী নারাজি দরখাস্তে প্রেক্ষিতে অপরাধ আমলে নিয়ে আজিজ নগর চেয়ারম্যন জসিম উদ্দিনসহ আরও অন্য দুইজন আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।













