৮ নভেম্বর ২০২৫

রমজানেও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন ছাত্রনেতা রাজীব

বাংলাধারা প্রতিবেদক »

রাজীব কুমার শীল অনেকেরই পরিচিত মুখ। বিশেষ করে চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের সবাই তাকে চেনেন। তিনি বন্দর থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতিও। ছাত্রলীগের রাজনীতি করার পাশাপাশি মানবিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় আলোচনায় থাকেন তিনি। প্রতিবারের মতো এবারের রমজান মাসে অন্যরকম এক মানবিক উদ্যোগ নিয়ে আলোচনায় এসেছেন এই ছাত্রলীগ নেতা। করোনাভাইরাস ঠেকাতে লকডাউন ঘোষণার পরপরই নেমে পড়েন নিম্নআয়ের মানুষদের পাশে দাঁড়াতে।

লকডাউনে অসহায় ও নিম্নআয়ের অনেক মানুষ যখন সেহরি না খেয়েই রোজা রাখতে বাধ্য হচ্ছিলেন তখন বন্দর এলাকার এই ছাত্রনেতা নিজ হাতে রান্না করে রাতের আঁধারে সহযোদ্ধাদের নিয়ে খাবার পৌঁছে দিয়েছেন ওইসব মানুষের ঘরে ঘরে। যাদের অনিশ্চিত ইফতারের আয়োজন তাদের পাশেও দাঁড়িয়েছেন রাজীব কুমার শীল।

এবারের রমজান মাস শুরু হওয়ার আগেই নিম্নআয়ের ৫০টি পরিবারের জন্য পুরো রমজান মাসের বাজার পৌঁছে দিয়ে সহযোগিতা করেছেন রাজিব। প্রথম রমজান থেকে নিজের বাসায় রান্না শুরু করেছেন ইফতার। বাসায় তৈরি করা ইফতার নিয়ে ছুটছেন বন্দর নগরীর বিভিন্ন অলি গলিতে। প্রথম রমজান থেকে শুরু করা এই ইফতার আয়োজন চলবে শেষ রমজান পর্যন্ত। সনাতন ধর্মাবলম্বী একজন ছাত্রনেতার এমন মানবিক উদ্যোগ যেন সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত।

শুধু তাই নয়, বিপদে পড়া ছাত্র-ছাত্রী আর হাসপাতালের রোগীদের পাশেও দাঁড়িয়েছেন রাজিব কুমার শীল। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে রোগীর স্বজনদের জন্য ইফতার ও সেহেরি নিয়েও হাজির হয়েছেন তিনি। যেন তারা বিপদেও মনোবল না হারায়।

এসব বিষয়ে বাংলাধারা প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলেন বন্দর থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাজিব কুমার শীল। তিনি বলেন, মানুষ হিসেবে মানুষের বিপদে সবসময় পাশে থাকা উচিত। হিন্দু নাকি মুসলিম সেটা মূখ্য পরিচয় নয়। এজন্য মানবিক হওয়া জরুরি।

সামর্থ্য অনুযায়ী যতটুকু পেরেছেন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, শেষ পর্যন্ত সবার পাশে থাকতে চান তিনি। সবাই নিরাপদে থাকবে, আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে— এমনই প্রত্যাশা এই ছাত্র নেতার।

তিনি আরও বলেন, এই ইফতার, সেহেরি আর উপহার সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া আমার কাছে জীবনের অন্যতম আনন্দের এক মুহূর্ত মনে হয়েছে। কারণ মানুষ উপহার সামগ্রী পেয়ে যে খুশি হয়েছেন তা দেখে মন ভরে গেছে। আমার জীবন ধন্য হয়ে গেছে। মন চায়, এসব মানুষকে আরও দেয়ার, আরও সহযোগিতা করার। যদি প্রতিদিন এক হাজার মানুষকে ইফতার দিতে পারতাম আরও বেশি তৃপ্তি পেতাম। মনের তৃপ্তির জন্য এবার পুরো মাস দরিদ্র মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করবো।

তার বন্ধুরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে খুব ভালো কাজ করছেন রাজিব। তার পাশাপাশি বন্ধুমহলও সবাই কাজ করছেন। সবাই খুব খুশি তার কাজে। মানুষের সংকটে তার এগিয়ে আসা সবাইকে সাহস যোগাবে।

এ বিষয়ে নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর বলেন, খুবই ভালো কাজ করছেন রাজিব। এলাকার মানুষের জন্য ইফতার ও সেহেরির ব্যবস্থা করেছেন। সহযোদ্ধাদের সহযোগিতা করছেন। ছাত্রলীগের অন্যান্যদেরও তার মতো এগিয়ে আসার আহ্বান জানান নগর ছাত্রলীগের এই শীর্ষ নেতা।

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ