২৬ অক্টোবর ২০২৫

রাউজানে এক মাসে ২০ গরু চুরি, আতঙ্কে খামারি ও গৃহস্থরা

রাউজান প্রতিনিধি »

চট্টগ্রামের রাউজানে গত এক মাসে ২০টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে উদ্ধার হয়েছে মাত্র ৫টি।

সর্বশেষ আজ বুধবার (১ মার্চ) ভোররাতে উপজেলার পাহাড়তলী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ঊনসত্তর পাড়া গ্রামের বাদল মাস্টারের বাড়ি থেকে ৫টি গরু নিয়ে যায় চোরের দল।

স্থানীয় ইউপি সদস্য সুজন মল্লিক জানান, চোরের দল ভোররাতে হানা দিয়ে এলাকার জগবন্ধু দে’র ছেলে রাখাল দের একটি গাভী, দুইটি বাছুর ও প্রবাসী দোলন মজুমদারের স্ত্রী কণা মজুমদারের একটি গাভী, একটি বাছুর চুরি হয়ে যায়। আমাদের চেয়ারম্যান রোকন উদ্দিনের পরামর্শে আমি এলাকায় পাহারার ব্যবস্থা করেছি। গতরাত ২টা পর্যন্ত পাহারায় ছিলাম।

চুরি হয়ে যাওয়া গরুগুলোর আনুমানিক বাজার মূল্য ৩ লাখ টাকা বলে জানান ক্ষতিগ্রস্ত গরুর মালিকরা।

ক্ষতিগ্রস্ত গরুর মালিক রাখাল দে’র ভাই গোপাল কৃষ্ণ দে বলেন, রাত প্রায় ২টার সময় আমরা ঘুমায়ে পড়ি। সকালে উঠে গোয়ালঘরে গিয়ে দেখি গোয়ালঘরে কোনো গরু নেই। এরপর বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও গরুগুলোর কোন হদিস পাননি।

গরু চুরির ঘটনায় খামারি ও গৃহস্থদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এই ফেব্রুয়ারি মাসে মোট ২০টি গরু চুরি হয়েছে। এদের মধ্যে গত ৮ ফেব্রুয়ারি নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কালি বাড়ি হতে নাজিম উদ্দিনের ২ লাখ টাকা দামের দুটি, বিশ্বনাথ ও রঞ্জিত মাস্টারের ৩ তিন লাখ টাকা দামের ৩ টি এবং চুন্নু নাথের ১ লাখ টাকা ১ টি, ৯ ফেব্রুয়ারি গরীবুল্লাহ পাড়ার মো. বাবুলের ২টি গরু, ২১ শে ফেব্রুয়ারি ভোরে উরকিরচর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ইউসুফ আলী গুন্নুর ৪টি, পশ্চিম গুজরার সরকার পাড়ার সাগর সরকারে ৩ টি গরু চুরি হয়।

এরমধ্যে নোয়াপাড়া ইউনিয়নের গরীবুল্লাহ পাড়ার মো. বাবুলের ২টি এবং পশ্চিম গুজরা সরকার পাড়ার সাগর সরকারের ৩টি গরু উদ্ধার হলেও বাকি ১৫টি গরুর এখনও কোন হদিস পাওয়া যায়নি।

রাউজান থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই অজয় দেব জানান, গরু চুরির ঘটনায় আমাদের কেউ অভিযোগ করেনি। তবুও পুলিশ রাতে নিয়মিত টহল দিচ্ছে। ক্রয়-বিক্রয়ের রসিদ ছাড়া কোনো গরুর গাড়ি আমরা পরিবহন করতে দিচ্ছি না। এর মধ্যে চুরি হয়ে যাওয়া কিছু গরু উদ্ধার করে আমরা মালিককে বুঝিয়ে দিয়েছি।

বাংলাধারা/এআই

আরও পড়ুন