২৪ অক্টোবর ২০২৫

রাউজানে ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম হত্যাকাণ্ডে দুই যুবদল কর্মী গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামের রাউজানে শুঁটকি ব্যবসায়ী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- আরাফাত মামুন (৪৮) ও বিপ্লব বড়ুয়া (৩৫), যাদের দুজনই স্থানীয় যুবদল কর্মী হিসেবে পরিচিত। তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র, রিভলবার ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সানতু এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গত ৪ মার্চ গভীর রাতে বাগোয়ান ইউনিয়নের গরিবউল্লাহপাড়ার একটি বাড়ি থেকে আরাফাত মামুন ও তার সহযোগী বিপ্লব বড়ুয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার এড়াতে তারা গুলি চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করলেও পুলিশের বিশেষ অভিযানে ধরা পড়ে। তাদের কাছ থেকে একটি দেশীয় এলজি, একটি বিদেশি রিভলবার, ৫ রাউন্ড গুলি ও ২ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

গত ২৪ জানুয়ারি জুমার নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করে ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলমকে। ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন, আহত হন তার মামাতো ভাই মো. আব্বাস উদ্দিন।

হত্যার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে এবং তদন্ত শুরু করে। নিহত ব্যবসায়ীর ছেলে মাকসুদ আলমের দায়ের করা এজাহারের ভিত্তিতে রাউজান থানায় অজ্ঞাত ২৫-৩০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা হয়।

পুলিশ সুপার জানান, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হয়। এরই মধ্যে রমজান আলী ও গিয়াস উদ্দীন নামে আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃত আরাফাত মামুনের বিরুদ্ধে রাউজান থানায় দ্রুত বিচার আইনে একটি, মারামারি-সংক্রান্ত ২টি, অপহরণ ও চাঁদাবাজির ২টি, খুনের ১টি, নগরের চকবাজার থানায় আরও ১টি খুনের মামলা এবং চান্দগাঁও থানায় একটি চেক প্রত্যাখ্যানসহ মোট ৮টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত দুইজনের কাছ থেকে উদ্ধার করা অস্ত্রের কোনো বৈধ লাইসেন্স নেই। তারা চাঁদাবাজি, অপহরণ ও ভয়ভীতি দেখানোর কাজে এসব অস্ত্র ব্যবহার করত বলে স্বীকার করেছে।

হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অন্যান্য ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এআরই/বাংলাধারা

আরও পড়ুন