৭ ডিসেম্বর ২০২৫

রাউজানে মুখোশধারীর গুলিতে যুবদল নেতা সেলিম নিহত

চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার কদলপুরে দিনে-দুপুরে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে মো. সেলিম (৪০) নামের এক যুবদল কর্মীকে। রবিবার (৬ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে কদলপুর ইউনিয়নের ঈশান ভট্টের হাট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। মুখোশধারী পাঁচ সন্ত্রাসীর গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিনি।

নিহত সেলিম কদলপুর ইউনিয়নের শমশেরপাড়া এলাকার বাসিন্দা আমির হোসেন ওরফে ছোট বাইল্যার ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিনি কদলপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ অনুসারী ছিলেন।

নিহতের মামা মাস্টার মো. রফিক জানান, সেলিম তার স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে ঈশান ভট্টের হাট থেকে নিজ বাড়ি ইসলামিয়া নতুনপাড়ার দিকে যাচ্ছিলেন। পথে একটি সিএনজি অটোরিকশায় করে আসা পাঁচ মুখোশধারী দুর্বৃত্ত তার পথরোধ করে গুলি চালায়। তিনি বলেন, “দুজন সেলিমকে লক্ষ্য করে কাছ থেকে গুলি করে, ঘটনাস্থলেই তিনি পড়ে যান।”

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গুলি ছুড়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে সন্ত্রাসীরা। স্থানীয়রা সেলিমকে উদ্ধার করে রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শাহাজান জানান,”নিহতের মুখে শর্টগানের দুটি গুলি লাগে। একটি গুলি মুখমণ্ডলে মারাত্মকভাবে আঘাত করে। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়।”

স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, সেলিম এক সময় আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হন। পাশাপাশি বালু উত্তোলনসহ নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও ছিল।

তবে রাজনৈতিক অভ্যন্তরীণ কোন্দল থেকেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

রউজান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, “ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলেই মনে হচ্ছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।”

আরও পড়ুন